পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ 8b" বাংলায় ভ্রমণ পৃথুরাজা নাকি এই দীঘির জলে ডুবিয়া আত্মহত্যা করেন। কীচক জাতি এখন বিলুপ্তপ্রায় । জলপাইগুড়ির বনে জঙ্গলে এখনও সামান্য দুই চার ঘর কীচকের বাস আছে । বন্য পশুপক্ষী প্রভৃতি শিকার করিয়া ইহারা জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করে। গড়ের উত্তরদিকস্থ তালমা নদী হইতে পরিখার জল লওয়া হইত। প্রাসাদ এবং মহারাজ দীঘি ঘেরিয়া নগরটি পূর্ব-পশ্চিমে ১৯৩০ গজ এবং উত্তর-দক্ষিণে ৩৪৫ গজ । মধ্যবর্তী নগরীটি পুৰ্ব্ব-পশ্চিমে ৩৫৩০ গজ এবং উত্তর-দক্ষিণে ৬৩৫০ গজ, ইহার দক্ষিণে বাঘপুখোরী নামে একটি পুষ্করিণী আছে, উহার নিকটে নাকি রাজা কতকগুলি বাঘ রাখিতেন। বাহিরের নগরীটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় চার মাইল হইবে । ইহাতে নিম্নতম স্তরের অধিবাসীরা বাস করিত এবং ইহার নাম ছিল হরির ঘর । সম্ভবতঃ খৃষ্টীয় নবম বা দশম শতাব্দীতে কাম্বোজ বা তিববতীয়গণের আক্রমণ হইতে উত্তরবঙ্গ রক্ষা করিবার জন্য বাংলার পালবংশীয় রাজারা এই দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন। জলপাইগুড়ি রাজবাড়ীর তোরণ জলপাইগুড়ি জেলার পুরাতন ইতিহাসের সহিত সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের “দেবী চৌধুরাণীর” ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে। জলপাইগুড়ির “রেগুলেশন” অঞ্চল অর্থাৎ শিলিগুড়ির নিকটস্থ তিস্তা তীরবর্তী বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল মহাল, চিলহাটির নিকটবর্তী বোদ এবং তিস্তার পূৰ্ব্বপারে পাটগ্রাম পরগণা পূৰ্ব্বে কোচবিহাররাজের অধিকৃত ছিল। পরবর্তীকালে এই পরগণাগুলি মুঘলদের অধিকারভুক্ত হইয়া সীমান্তের ফকিরকুণ্ডি (বর্তমান রংপুর) নামক ফৌজদারীর অধীন হয়। ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি ফকিরকুণ্ডির দেওয়ানি লাভ করিয়া ইতিহাস-কুখ্যাত দেবীসিংহকে উহার ইজারাদার নিযুক্ত করেন। দেবী সিংহের অমানুষিক অত্যাচারে কৃষকেরা বিদ্রোহী হয়। এই বিদ্রোহ দমন করিতে