পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ Sq&. রুদ্র শিবেরই মূৰ্ত্তিভেদ বিশেষ, তবে ইহাদের মুখ একটি করিয়া ; ঈশ্বর শুভ্রবর্ণ, রুদ্রের গায়ের রং কমলা নেবুর রংয়ের হ্যায়। এই মুন্দর বিগ্রহটি একটি দেখিবার মত বস্তু। এখানে প্রতিবৎসর মাঘমাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে মহোৎসব হয়। গড়িয়া হইতে বোড়াল গ্রামে যাইবার পথে ভাগীরথীর লুপ্ত খাত দেখা যায়। ইহার তীরে এখনও প্রাচীনকালে নিৰ্ম্মিত কতকগুলি শিবমন্দির দৃষ্ট হয়। সোনারপুর জংশন—কলিকাতা হইতে ১০ মাইল দূর। ইহা চব্বিশ পরগণা জেলার একটি বাণিজ্য প্রধান স্থান। ইহার নিকটবৰ্ত্তী রাজপুর ও হরিনাভি প্রসিদ্ধ গ্রাম। এই স্থান হইতে একটি শাখা পথ কলিকাতা হইতে ২৮ মাইল দূরবর্তী ক্যানিং পর্যন্ত গিয়াছে। এই শাখা পথে ঘুটিয়ারী শরীফ ও ক্যানিং উল্লেখযোগ্য স্টেশন। মন্‌জিদ, যুটীয়ারি শরীফ ঘুটিয়ারী শরীফ—কলিকাতা হইতে ২০ মাইল দূর। ইহা মুসলমানগণের একটি বিখ্যাত তীর্থস্থান। স্টেশনের নিকটেই সুবিখ্যাত পীর গাজী মোবারক আলি সাহেবের দরগাহ ও মসজিদ অবস্থিত। গাজী সাহেবের সম্বন্ধে ঐতিহাসিক তথ্য বিশেষ কিছুই জানা যায় না, তবে নানারূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে। যে স্থানে ঘুটিয়ারী শরীফ অবস্থিত উহা মদনমল পরগণার অন্তর্গত। পূৰ্ব্বে এই অঞ্চল সুন্দরবনের অংশ বিশেষ ছিল। কথিত আছে যে গাজী সাহেব অদ্ভূত ক্ষমতাবলে বনের ব্যাঘ্র প্রভৃতি হিংস্র জন্তুকে বশীভূত করিয়া এই অঞ্চলে মনুষের বসতি স্থাপন করেন। তিনি ব্যাক্স পৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া জঙ্গলে ঘুরিয়া বেড়াইতেন। একবার স্থানীয় জনৈক নাবালক জমিদার বাদশাহ সরকারে সময়মত খাজনা না দিতে পারায় বাদশাহের আদেশে ধৃত হইয়া রাজধানীতে নীত হন। বালকের জননীর ক্ৰন্দনে বিচলিত হইয়া গাজী সাহেব একটি প্রকাণ্ড ব্যান্ত্রের পৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া রাজধানীতে বাদশাহের দরবারে গিয়া উপস্থিত হন। বলা বাহুল্য,