পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిky • বাংলায় ভ্রমণ বারাসাত হইতে চার মাইল উত্তর পশ্চিমে বারাসত-বারাকপুর ট্রাঙ্ক রোডের পাশে অবস্থিত নীলগঞ্জ গ্রামে বাংলার সর্বপ্রথম নীলকুঠি স্থাপিত হয়। অষ্টাদশ শতকে শেষভাগে জন প্রিন্সেপ এই কুঠির প্রতিষ্ঠা করেন। এই কুঠির ভগ্নাবশেষ এখন দেখিতে পাওয়া যায়। স্টেশন হইতে চার মাইল উত্তর-পূর্বে মধুমুরলী নামে একটি স্ববৃহৎ পুষ্করিণী আছে ; প্রায় সওয়া তিন শত বৎসর পূর্বে মধু ও মুরলী নামে দুই বণিক ভ্রাতা ইহা খনন করাইয়াছিলেন। ইহার উত্তর-পশ্চিম পাড়ে একটি পুরাতন নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ আছে। পুষ্করিণীর পূর্ব-দক্ষিণ কোণে একটি উচ্চ স্তম্ভ আছে ; ইহা কি জন্য নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল জানা যায় নাই। পুষ্করিণীর দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি অষ্টকোণ উদ্যান-অট্টালিকার এরোড্রোম, দমদম ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। ইহা অষ্টাদশ শতাব্দীতে ল্যাম্বার্ট নামক একজন ইংরেজ কৰ্ম্মচারী কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ১৭৭৪ খৃষ্টাব্দে ইনি দিনাজপুরে প্রাণত্যাগ করেন। র্তাহার নির্দেশ অনুসারে তাহাকে দাহ করা হয় এবং তাহার দেহভস্ম তাহার প্রিয় অট্টালিকার নীচে প্রোথিত করা হয়। বারাসাত মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্গত কাজীপাড়ায় পীর একদিল সাহেব নামক একজন পীরের আস্তানা আছে। এখানে পৌষমাসে একটি মেলা হয়। ইহার সম্বন্ধে নানারূপ অদ্ভূত কাহিনী প্রচলিত আছে, যথা ইচ্ছামত ইনি নাকি গরু মহিষ প্রভৃতিকে বাঘ ভালুকে পরিণত করিতে পারিতেন। বারাসাত ও নিকটবর্তী গ্রাম সমূহের চিকণ শিল্প কিছুকাল পূর্বেও প্রসিদ্ধ ছিল ; ইউরোপীয়েরা ইহা আগ্রহের সহিত ক্রয় করিতেন এবং ইউরোপ ও অষ্ট্রেলিয়াতে ইষ্ট রপ্তানি হইত।