পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজল রেখা \УО তথাপি বাদ সাদ দিয়া যাহা সত্যিকার আভাস দিতেছে, তাহাতে মনে হয় বাঙ্গালার তখনকার ধনৈশ্বৰ্য্যের তুলনা ছিল না। এই গল্প নিছক গল্প—ইহা ইতিহাস-মূলক নহে। এই সকল গল্প রূপকথার পর্য্যায়ে পড়ে। শিশুর কল্পনা ও কৌতুহল ও প্রবীনের চিন্তাশীলতার অনেক উপাদান এই সকল রূপকথায় আছে। যখন বাঙ্গালী জাতি ধন-জন ও ঐশ্বৰ্য্যে সমৃদ্ধ ছিল, এবং বাঙ্গলার ডিঙ্গি বাণিজ্য পথে জগৎ পৰ্য্যটন করিত, এসকল রূপকথা সেই যুগের। ভাষার অনেকটা পরিবর্তন হইলেও ইহার বিষয়-বস্তু অতি প্ৰাচীন,-সম্ভবত, আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, পাল-যুগের । সমাজ যে তখন উন্নত সুনীতির পৃষ্ঠপোষক ছিল, তাহার প্রমাণ এই যে জুয়ারীর কন্যাকে কেহ বিবাহ করিতে চাহিত না । অবশ্য তান্ত্রিক-বিদ্যার বিশেষ চৰ্চা থাকার দরুন অলৌকিক ঘটনার প্রতি লোকের বিশ্বাস থাকাতে অনেক সময়ে সামাজিক দুৰ্গতি হইত।