পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 বাংলার পুরনারী পায়েস ও পিষ্টক অনেক রকমের তৈরী হইল। ডুঙ্গাগুলি ভৰ্ত্তি হইয়া গেল। উৎকৃষ্ট ‘চিকনিয়া” চালের ভাত তালপাতের থালায় রক্ষিত হইল, তাহাদের সুবাসে সমস্ত বন আমোদিত হইল এবং উষ্ণ অন্ন ব্যঞ্জন হইতে মনোরম ভ্ৰাণ উখিত হইতে লাগিল এবং সুগন্ধ ধোয়ায় ক্ষুধার উদ্রেক করিতে লাগিল। রাণী রাধিয়া বাড়িয়া নিজে তৃপ্তি বোধ করিলেন এবং কাঠুরাণীদিগকে বলিলেন, “চল আমরা এইবার নদীতে স্নান করিয়া আসি।” এক একটি মেটে কলসী লইয়া কতক কতক কাঠিরাণী রাণীর সঙ্গে চলিল। জাহাজ উদ্ধার ও রাণীকে লইয়া পলায়ন কোন ক্ষুধাৰ্ত্ত ব্ৰাহ্মণের অভিশাপে এক সাধুর চৌদখানি মাল-বোঝাই নৌকা সেই নদীর চরে আটকাইয়া গিয়াছিল ; অতিথি ক্ষুধার পীড়ণে হাত পাতিয়া কিছু সাহায্য চাহিয়াছিল, কিন্তু মাঝিরা মনের স্মৃত্তিতে সারি গাহিয়া যাইতেছিল, তাহারা অতিথির কাতর নিবেদন গ্রাহ্যু করে নাই । ডিঙ্গিগুলি চরায় আটকাইয়া যাইবার পর যাত্রীদের হুস হইল। তখন বণিক অনেক আৰ্ত্তনাদ ও কান্নাকাটি করার ফলে দৈববাণী হইল, “কোন সতী নারী তোমার জাহাজ ছুইয়া দিলে-আবার তাহারা জলে ভাসিবে ।” সেই নদীর তীরে সতী নারীর খোজে যখন সাধু ব্যাকুল ভাবে সন্ধান করিতেছিলেন, তখন একদল কাঠুরাণীর মধ্যে আলোকসামান্য রূপসী রাণী সেই ঘাটে আসিয়া পড়িলেন। তাহার চাঁদের মত মুখখানি এবং মূৰ্ত্তিমতী পতি-পরায়ণতার জ্বলন্ত তেজ দেখিয়া মাঝি মাল্লা ও বণিক সকলেই চমৎকৃত হইল। “কোন রাজ