পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পুরনারী ܘܓ কিছু জানি না, তথাপি যদি তুমি আমায় ছাড়িয়া দাও। তবে এই ছুরি গলায় বিধাইয়া এখনি মরিব । তোমাকে না পাইলে আমি বাড়ী-ঘর, গিয়া কি করিব ! এইখানেই আজ আমার শেষ।” তখন মহুয়া দৃঢ় পাদক্ষেপে উঠিয়া দাড়াইল, বলিল, “তোমার এত ভালবাসা, আমি কি ইচ্ছা করিয়া আমার মাথার সোণার সিঁথি ফেলিয়া দিতে পারি ? উঠ, চল আমরা দুইজনে এখান হইতে পলাইয়া যাই। বাপের বড় বড় তেজি ঘোড়া আছে-তাহার একটা লইয়া আসি ।” দুষ্ট বেণের ষড়যন্ত্র ও প্রতিশোধ ঘোড়া উপস্থিত হইল, দুইজনে সেই ঘোড়ায় চড়িয়া ছুটিল। তখন আভে আবার চাদকে ঢাকিয়াছে, অস্পষ্ট জ্যোৎস্নায় দুইটি ঘোড় সোয়ার চন্দ্ৰ সূৰ্য্য সাক্ষী করিয়া নদীর পাড় দিয়া ছুটিল। বহুদূর হইতে ঘোড়ার খুরের শব্দ হোমরা বেদের কাণে প্ৰবেশ করিল, সে মহুয়ার প্রতীক্ষা করিতে করিতে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে :- ‘$ांग ज्रक्रछ cयम 6धांgांश bटिल । চাবুক খাইয়া ঘোড়া শূন্যেতে উড়িল ॥” দুই জনে নদীর পাড়ের, কোন একটা স্থানে ঘোড়া হইতে নামিয়া পড়িল। মহুয়া-“লাগাম ছাড়িয়া ঘোড়ার পৃষ্ঠে মারাল থাবা।” ঘোড়াকে সম্বোধন করিয়া মহুয়া বলিল, “ফিরিয়া বাপের বাড়ীতে যাও, যদি কহিতে পার জানাইও, মহুয়াকে জঙ্গলের বাঘে খাইয়াছে’-সে। আর বেদিয়ার কুটিরে যাইবে না।”