পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, $ፃዓ সম্মুখে বড় নদী - পার কুল দেখা যায় না, উত্তাল তরঙ্গ,- এই নদী। কি করিয়া পার হইবে ? কিন্তু পার হওয়া চাই, নতুবা বেদেরা আসিয়া পড়িবে। শেষ রাত্রের শেষ যাম অতীত প্ৰায়, তাহারা তীরে দাড়াইয়া উষার পূর্বাভাষ দেখিতে পাইল, নদীর একটা অংশ এবং দিগন্ত-রেখায় কে যেন আবির ছড়াইয়া দিয়াছে! উত্তাল ঢেউগুলি তটভূমিতে আঘাত করিয়া উন্মত্ত যন্ত্রের বেশে আবার আক্রমণ করিতে ফিরিয়া আসিতেছে ! “কি সুন্দর পাখীগুলি, নানাবর্ণের পালকে কত বিচিত্র রংএর খেলা দেখা যাইতেছে, মহুয়া কি করিয়া এই ঘোর সিন্ধু পার হওয়া যায় ?” “না, ঠাকুর, ওগুলি পাখীর পাখা নয়, ভাল করিয়া দেখ, খুব বড় নৌকার অনেকগুলি পালের মত দেখাইতেছে না কি ! কত উচুতে পালগুলি উড়িতেছে, ঐ দেখা কাছে আসিয়া পড়িয়াছে।” উভয়ে সন্তুষ্ট হইল, এই নৌকায় যদি পার হইয়া ওপারে যাইতে পারি, তবে আর ভয় নাই । নদের ঠাকুর চীৎকার করিয়া বলিল— “আমরা দুইজন অনাশ্ৰয় পথিক, নদীর ওকুলে যাইব ।” “বিস্তার পাহাড়িয়া নদী ঢেউএ মারে বাড়ি । এমন তরঙ্গ নদীর কেমনে দিব পাড়ি ৷ গহিন গম্ভীরা নদী-অলছ তলছ পাণি । পার কৈরা দিলে বাচে। এ দুইটি পরাণী ৷” সেখান দিয়া এক সদাগর যাইতেছিল। কন্যার রূপ দেখিয়া সে মুগ্ধ হইল ঃ SS L D Su DB DBY 'कूण८ऊ डिफुां७ ८नोक,-८ऊांभब्रा गरुद्र ।' কুলেতে ভিড়িল নৌকা উঠিল দুজন । চলিল সাধুর নৌকা পবন গমন ॥” সদাগরের ইঙ্গিতে যে স্থানে সেই নদীর ভীষণ আবৰ্ত্ত, সেইখানে সাহস মাঝিরা নদের ঠাকুরকে ফেলিয়া দিয়া অতি দ্রুত নৌকা বাহিয়া চলিল।