পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা S O তার পরিধানে ময়ুরপুচ্ছের কাটবাস, গলায় কুঁচের মালা । মত্ত শবর পাগলপারা উন্মুখ হয়ে বেড়ায়। শবরী বলে, দোহাই তোমার শবর, গোল কোরো না । চেয়ে দেখ, আমি তো তোমারই ঘরণী আছি । নাম আমার সহজসুন্দরী । তুলা ধুণি ধুণি আহ্বরে আস্থ । তাঙ্ক খুণি খুণিণিরবর সেন্থ । তউসে হেরুঅ ণ পাবিআই । সাপ্তি ভণই কিণ স ভাবিআই । তুলে ধুনতে ধুনতে আঁশে গিয়ে দাড়ায়। আবার আঁশ ধুনতে ধুনতে আঁশ অদৃপ্ত হয়ে যায়। কেন যে এরকমটা ই তার কারণ পাওয়া ভার। শাস্তিপাদ বলেন, কিসের থেকে যে কি হয়, তা তো ভেবেই পাই নে । টালত মোর ঘর নাহি পড়িবেশী । হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী । বেঙ্গস সাপ বড হিল জাঅ। দুহল দুধু কি বেণ্টে সমাঅ । টিলার উপর আমার ঘর। প্রতিবেশী কেউ নেই । হাড়িতে ভাত নেই। নিত্য অভাবের সংসার । ঘরে যে ব্যাঙ আর সাপ বেড়ে উঠল। ভাগ্যহত হলে আর কি কপাল ফেরে ? দুধটুকু দুহে নিলে আর কি তা গোরুর বাটে ফিরে যায় ? চর্যাগানের পর প্রায় দু শো আড়াই শো বছর ধরে বাংলা সাহিত্যক্ষেত্র একেবারে ফাকা। পালরাজারা ছিলেন এ-দেশেরই লোক। র্তার বৌদ্ধধর্মাবলম্বী হলেও তাদের আশ্রয়ে একদিকে যেমন বাঙালী সংস্করণের