পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা وی (با ۹ পদসংগ্রহ পুথি আনানো হয়েছে। এর নাম পদমেরুগ্ৰন্থ । উপর থেকে ভাসা ভাসা যা দেখা গেছে তাতে মনে হয়, কোনো ব্যক্তি এই পুথি ভালো করে যত্ব নিয়ে নাড়াচাড়া করলে অনেক নতুন নতুন পদাবলীর সন্ধান পাবেন । সে যাই হোক, এখন একালের লেখা আপনাদের যেসব সাধের কবিতা আছে, সেগুলোর সঙ্গে সেকালের লেখা এইসব পদের একবার তুলনা করে দেখুন, উভয়েই সজাতি সগোত্র কি না । বাংলাদেশের জলহাওয়া আর মাটির গুণে বাংলাদেশের কাব্য হয়ে ওঠে গান। সঙ্গীতপ্রাণ এই কবিতারই নাম লিরিক স্বরের বাধাবাধির মধ্যে থাকতে হয় বলে, লিরিকে বলার চেয়ে না-বলাটাই হয় বেশি। যেটা বলা হল, সেটা তো খুবই অল্প। অতিশয় ক্ষীণ তার প্রাণ। ছুতে-না-ছুতেই তা হয়ে পড়ে। আর তাকে ধরা যায় না। কিন্তু যেটা বলা হল না, তারই ধ্বনি তো মনের মধ্যে অহরহ গুঞ্জন করতে করতে মনের ভিতর এমন-এক অপূর্ব স্বরলোকের স্বষ্টি করে যে, তাকে আর যাই হোক, মর্তলোকের কোনো পদার্থ বলে তো কিছুতেই চালানে योंध्र न ! বাংলার মাটিতে এই গানের আবেগ এতই প্রবল যে, বাংলা এপিক কাব্যেরও প্রাণবস্তুটি হচ্ছে আসলে লিরিক । দেবদেবীদের স্তুতিমূলক মঙ্গলকাব্যে, কাশীরাম দাসের মহাভারতে, কৃত্তিবাসের রামায়ণে তো পদে পদে এই লিরিক প্রাণবস্তুটিই ধরা পড়ে । এমনকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এপিক কবি মাইকেলের কাব্যও প্রকৃতপক্ষে কতকগুলো বড় বড় লিরিকের সমষ্টিমাত্র। বাংলাদেশের খাটি নিজস্ব ধন যে ছেলেভুলানো ছড়া, তাতেও দেখি, লিরিক রসের ছড়াছড়ি। তবে খাটি স্বদেশী মালে আজকাল কারোরই