পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীমসের বাংলা ব্যাকরণ sཞེ ཤི་ “তাম্রশাসনের ভাষার প্রতি লক্ষ্য করিলে দেখা যাইবে যে ইহাতে স্বার্থে ‘ক’ এর ব্যবহার কিছু বেশি। দূত স্থানে দূতক, “হট’ স্থানে ‘হাট্টকা,’ ‘বাট’ স্থানে বাটক’ ‘লিখিত’ স্থানে লিখিতক’ এইরূপ শব্দ প্রয়োগ কেবল উদ্ধৃত অংশমধ্যেই দেখা যায়। সমুদায় শাসনে আরো অনেক দেখা যাইবে।” দীনেশ বাবু লিখিয়াছেন “এই ‘ক’ ( যথা বৃক্ষক, চারুদত্তক, পত্রক ) প্রাকৃতে অনেকস্থলে ব্যবহৃত দেখা যায়। গাথা ভাষায় এই ‘ক’ এর প্রয়োগ সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশি, যথা ললিতবিস্তর একবিংশধ্যায়ে— “স্বসস্তকে ঋতুবর আগতকে, রতিমো প্রিয় ফুল্লিত পাদপকে ॥ তবরূপ স্বরূপ সুশোভনকে, বসবৰ্ত্তি সুলক্ষণ চিত্রিতকে ॥ বয়জাত সুজাত সুসংস্থিতিকাঃ । সুখকারণ দেবনরাণ সুসন্তুতিকাঃ ॥ উখি লঘুং পরিভুঞ্জ স্থযৌবনিকং। দুলভ বোধি নিবৰ্ত্তয় মানসকং ॥ দীনেশ বাবু প্রাচীন বাংলায় এই ক প্রত্যয়ের বাহুল্য প্রমাণ করিয়াছেন । এই ক' এর অপভ্রংশে আকার হয় । যেমন ‘ঘোটক’ হইতে ঘোড়া, ক্ষুদ্রক হইতে ছোড়া, তিলক হইতে টিকা, মধুক হইতে মহুয়া, নাবিক হইতে নাইয়া, মস্তক হইতে মাথা, পিষ্টক হইতে