পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3○○ সে শক্ত করিয়া ধরিলেও তাহ থাকিবে না । ১৬ সে হুর্য্যের সাক্ষাতে সতেজ থাকে, উদ্যানে তাহার কোমল শাখ ব্যাপিয়া যায়। ১৭ প্রস্তররাশিতে তাহার শিকড় জড়িত হয়, সে পাষাণচয়ের স্থান দেখিতে পায়, ১৮ তবু যখন সে স্বস্থান হইতে উৎপাটিত হয়, তখন সেই স্থান তাহাকে অস্বীকার করিয়া কহিবে, আমি ত তোমাকে দেখি নাই । ১৯ দেখ, এই তাহার পথের তামোদ ; পরে ধুলি হইতে অন্তের উঠবে।” ২০ দেখ, ঈশ্বর সিদ্ধকে নিগ্রহ করেন না, আর তিনি দুরাচারদের হস্ত ধরিয়। রাখেন না । ২১ এখনও তিনি তোমার মুখ হাস্তে পুর্ণ করবেন, তোমার ওঠাধর হর্ষধ্বনিতে পূর্ণ করিবেন। ২২ তোমার বিদ্বেষিগণ লজ্জাপরিহিত হইবে, দুষ্টগণের তাম্বু থাকিবে না । ইয়োবের উত্তর। ఏ তখন ইয়োব উত্তর করিয়া কহিলেন, আমি নিশ্চয় জানি, তাহাই বটে ; ঈশ্বরের কাছে মর্ত্য কি প্রকারে ধাৰ্ম্মিক হইতে পারে ? ৩ সে যদি তাহার সহিত বাদানুবাদ করিতে চাহে, তবে সহস্ৰ কথার মধ্যে তাহাকে একটীরও উত্তর দিতে পারে না । ৪ তিনি চিত্তে জ্ঞানবান ও বলে পরাক্রান্ত : তাহার প্রতিরোধ করিয়া কে পার পাইয়াছে ? ৫ তিনি পৰ্ব্বতগণকে স্থানান্তর করেন, তাহারা তাহ। জানে না, তিনি ক্রোধে তাহাদিগকে উণ্টইয়। ফেলেন । ৬ তিনি পৃথিবীকে তাহার স্থান হইতে কম্পমান করেন, তাহার স্তম্ভ সকল টলটলীয়মান হয় । ৭ তিনি স্থৰ্য্যকে বরণ করিলে সে উদিত হয় না, তিনি তারগণকে মুদ্রাঙ্কিত করেন । ৮ তিনি একাকী আকাশমণ্ডল বিস্তার করেন, সাগর-তরঙ্গের উপর পদার্পণ করেন। ৯ তিনি সপ্তর্ষি, মৃগশীর্ষ ও কৃত্তিকার, এবং দক্ষিণস্থ কক্ষ সকলের নিৰ্ম্মাণকৰ্ত্ত । ১• তিনি মহৎ মহৎ কৰ্ম্ম করেন, যাহা সন্ধানের অতীত, আশ্চৰ্য্য ক্রিয় করেন, যাহার সংগ্য নাই । ১১ দেখ, তিনি আমার সম্মুখ দিয়া যান, আমি তাহাকে দেখিতে পাই না : নিকট দিয়াও চলেন, আমি তাহীকে চিনিতে পারি না। ১২ দেখ, তিনি ধরিয়া লন, কে তাঁহাকে নিবারণ করিবে ? কে বা তাহীকে বলিবে, “তুমি কি করিতেছ?” ১৩ ঈশ্বর অপেন ক্ৰোধ সম্বরণ করিবেন না, গববীর সহায়গণ তাহার পদতলে নত হয়। ১৪ তবে অামি কি প্রকারে তাহাকে উত্তর দিব ? কেমন করিয়৷ কথা বাছিয়া তাহাকে কহিব ? ইয়োব। [ * ; అ— ఎ ; రిa t ১৫ ধাৰ্ম্মিক হইলেও আমি উত্তর করিতে পারি না, আমার প্রতিবাদীর কাছে বিনতি করিতে হয়। ১৬ আমি ডাকিলে যদিস্তাৎ তিনি উত্তর দেন, তথাপি তিনি যে আমার রবে কর্ণপাত করেন, আমার এমন বিশ্বাস জন্মিবে না। ১৭ কেননা তিনি আমাকে ঝড়ে ভাঙ্গিয়া ফেলেন, অকারণে পুনঃ পুনঃ ক্ষতবিক্ষত করেন। ১৮ তিনি আমাকে শ্বাস টানিতে দেন না, বরং তিক্ততায় পরিপূর্ণ করেন। ১৯ বিক্রমীর বলের কথা হইলে, দেখ, তিনি বিক্ৰমী, বিচারের কথা হইলে, কে আমার জন্ত সময় নিরূপণ করিবে ? ২• যদিও আমি ধৰ্ম্মিক হই, আমার মুর্থই আমাকে দোষী করিবে s যদিও আমি সিদ্ধ হই, তাহাই আমার কুটিলতার প্রমাণ হইবে। ২১ অামি সিদ্ধ, আমার প্রাণ মান্ত করি না, আপনার জীবনে আমার ঘৃণা লাগে । ২২ সকলই ত সমান, তাই আমি বলি, তিনি সিদ্ধ ও দুর্জন উভয়কে সংহার করেন। ২৩ কশা যদি হঠাৎ [ মনুষ্যকে ] মারিয়া ফেলে, তিনি নির্দোষের পরীক্ষায় হস্ত করবেন। ২৪ পৃথিবী দুর্জনের হস্তে সমৰ্পিত হইয়াছে, তিনি তাহার বিচারকত্তাদের মুখ আচ্ছাদন করেন - যদি না করেন, তবে এ কৰ্ম্ম কে করে ? ২৫ আমার দিন সকল ডাক অপেক্ষাও দ্রুতগামী : সে সকল উড়িয়া যায়, মঙ্গলের দর্শন পায় না। ২৬ সে সকল চলিয়া যায়, যেমন দ্রুতগামী নৌকা চলে, যেমন ঈগল পক্ষী খাদ্যের উপরে আসিয়া পড়ে। ২৭ যদি বলি, আমি বিলপ ভুলিয়। যাইব, মুখের বিষণ্ণতা দূর করিব, প্রসন্নচিত্ত হইব, ২৮ তথাপি আমার সকল ব্যথায় আমি ভীত, আমি জানি, তুমি আমাকে নির্দোষ জ্ঞান করিবে না। ২৯ আমাকেই দেৰী হইতে হইবে, তবে কেন বৃথা পরিশ্রম করব ? ৩• যদ্যপি হিমজলে গাত্র মার্জন করি, যদ্যপি ক্ষার দিয়া হস্ত পরিষ্কার করি, ৩১ তথাপি তুমি আমকে ডোবায় মগ্ন করবে, আমার নিজের বস্ত্রও আমাকে ঘুণ করিবে । ৩২ কেননা তিনি আমার দ্যায় মনুষ্য নহেন যে, তাহাকে উত্তর দিই, যে, তাহর সহিত একই বিচারস্থানে যাইতে পারি ; ৩৩ আমাদের মধ্যে এমন কোন মধ্যস্থ নাই, যিনি আমাদের উভয়ের উপরে হস্তপণ করবেন। ৩৪ তিনি আমার উপর হইতে আপনার দণ্ড দূর করুন, তাহার ভয়ানকত্ব আমাকে ব্যাকুল না করুক ; ৩৫ তাহাতে আমি কথা কহিব, তাহ হইতে ভীত হইব না - কেননা আমি অন্তরে তাদৃশ নহি । 436