পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ 8 や ৬ বস্তুতঃ স্বমন্ত্রণার চালনায় তুমি যুদ্ধ করিবে, অীর মন্ত্রিবাহুল্যে বিজয় হয় । ৭ মূর্থের জন্ত প্রজ্ঞা অতি উচ্চ ; সে নগর-দ্বারে মুখ খুলে না । ৮ যে অপকারের সঙ্কল্প করে, লোকে তাহাকে কুসঙ্কল্পকারী বলিবে । ৯ অজ্ঞানতার সঙ্কল্প পাপময়, আর যে নিন্দক, সে মনুষ্যদের ঘৃণিত । ১০ সঙ্কটের দিনে যদি অবসন্ন হও, তবে তোমার শক্তি সঙ্কুচিত । ১১ তাহাদিগকে উদ্ধার কর, যাহারী মৃত্যুর কাছে নীত হইতেছে, যাহার কাপিতে কঁাপিতে বধ-স্থানে যাইতেছে, আহ । তাহাদিগকে রক্ষ কর । ১২ যদি বল, দেখ, আমরা ইহা জানিতাম না, তবে যিনি হৃদয় তেল করেন, তিনি কি তাহ। বুঝেন না ? যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তাহ। জানিতে পারেন না ? তিনি কি প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার ক্রিয়ানুযায়ী ফল দিবেন না ? ১৩ হে বৎস, মধু খাও, যেহেতুক তাহ উত্তম, মধুর চাক থাও, তাই তোমার রসনায় মিষ্ট লাগে ; ১৪ জানিও, তোমার প্রাণের পক্ষে প্রজ্ঞ। তদ্রুপ ; তাহ পাইলে শেষ ফল হইবে, তোমার আtশ। ছিন্ন হইবে না। ১৫ রে দুষ্ট, তুমি ধাৰ্ম্মিকের নিবাসের বিরুদ্ধে ঘাটি বসাইও ন}, তাহার শয়ন-স্থান নষ্ট করিও না। ১৬ কেনন। ধাৰ্ম্মিক সাত বার পড়িলেও আবার উঠে ; কিন্তু দুষ্ট্রের বিপৎপাতে নিপাতিত হইবে। ১৭ তোমার শক্রর পতনে আনন্দ করিও না, সে নিপাতিত হইলে তোমার চিত্ত উল্লাদিত না হউক ; ১৮ পাছে সদাপ্রভু তাহ দেখিয়া অসন্তুষ্ট হন, এবং তাহার উপর হইতে আপন ক্রোধ ফিরান । ১৯ তুমি দুরাচীরদের বিষয়ে রাষ্ট হইও না ; দুষ্টগণের প্রতি ঈর্ষা করিও না। ২• যেহেতুক দুৰ্বত্তের শেষ ফল হইবে না, দুষ্টগণের প্রদীপ নিবিয়া যাইবে । ২১ ভয় কর সদাপ্রভুকে, হে বৎস, এবং রাজীকেও কর, পরিবর্তন-প্রিয়দের সঙ্গে যোগ দিও না : ২২ কেননা অকস্মাৎ তাহদের বিপদ ঘটিলে ; উভয়ের দ্বারা যে সংহার হইবে * তাহ। কে জানে ?

  • (ব।) তাহদের বৎসর-সংখ্যা কেমন নষ্ট হইবে ।

হিতোপদেশ । ! * ; G ه - وانا و 8 به ] ২৩ এই গুলিও জ্ঞানবানদের উক্তি । বিচারে মুখাপেক্ষ কর ভাল নয়। ২৪ যে দুষ্টকে বলে, তুমি ধাৰ্ম্মিক, জাতিগণ তাহাকে শাপ দিবে, লোকবৃন্দ তাহকে ঘূর্ণ করিবে । ২৫ কিন্তু যাহার। তাহীকে ধমক দেয়, তাহার প্রীতি-পত্ৰ হইবে, তাহীদের প্রতি উত্তম আশীৰ্ব্বাদ বৰ্ত্তিবে । ২৬ যে ব্যক্তি যথার্থ উত্তর করে, সে ওঠাধর চুম্বন করে । ২৭ বাহিরে তোমার কার্য্যের আয়োজন কর, ক্ষেত্রে আপনার জন্ত তাহ সম্পন্ন কর, পরে তোমার ঘর বাধ । ২৮ অকারণে তোমার প্রতিবাসীর বিপক্ষে সাক্ষী হুইও না ; তুমি কি ওষ্ঠ দ্বার প্রতারণা করিতে চাহ ? ২৯ বলিও না, “সে আমার প্রতি যেমন করিয়ছে, আমিও তাহার প্রতি তেমনি করিব : তাহার যেমন কৰ্ম্ম, তাহাকে তেমনি ফল দিব ।” ৩০ আমি অলসের ক্ষেত্রের পাশ্ব দিয়া গেলাম, হীনবুদ্ধির দ্রাক্ষার উদ্যানের নিকট দিয়া গেলাম ; ৩১ আর দেখ, তৎসমুদয় কটাবন হইয়। উঠিয়াছে, বিছুটি তাহার পৃষ্ঠ আচ্ছন্ন করিয়াছে, তাহার প্রস্তরময় প্রাচীর ভগ্ন হইয়াছে। ৩২ আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, মনোনিবেশ করিলাম, তাহ দর্শন করিয়া উপদেশ পাইলাম : ৩৩ আর একটু নিদ্রা, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুইয়া হস্ত জড়সড় করিব ? ৩৪ তাই তোমার দরিদ্রতা দম্যর হ্যায় আসিবে, তোমার দৈন্তদশী ঢালীর দ্যায় আসিবে । আরও নীতিকথা । ९ Q নিম্নলিখিত হিতোপদেশগুলিও শলেমনের; যিহুদী রাজ হিস্কিয়ের লোকের। এগুলি লিখিয়া লন । ২ বিষয় গোপন করা ঈশ্বরের গৌরব, বিষয়ের অনুসন্ধান করা রাজগণের গৌরব। ৩ যেমন উচ্চতার সম্বন্ধে স্বর্গ ও গভীরতার সম্বন্ধে পৃথিবী, তদ্রুপ রাজগণের হৃদয় অনুসন্ধান করা যায় না । ৪ রৌপ্য হইতে খাদ বাহির করিয়া ফেল, স্বর্ণকারের যোগ্য এক পাত্র বাহির হইবে ; ৫ রাজার সম্মুখ হইতে দুষ্টকে বাহির করিয়া দেও, তাহার সিংহাসন ধাৰ্ম্মিকতায় স্থিরীকৃত হইৰে । ৬ রাজার সম্মুখে আত্মগৌরব করিও না, মহৎ লোকদের স্থানে দাড়াইও না ; ৭ কেনন। বরং ইহা ভাল যে, তোমাকে বলা যাইবে, "এখানে উঠয়। এস' : কিন্তু তোমার চক্ষু যাহাকে দর্শন করিয়াছে, 546