পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাৰ \ల\\రి মধ্যে আসছে চোখের হাতের মনের তাদের সঙ্গে। ভাবুকের বেলায় এমনটা হয় না, সে ভাব কুড়োতে কুড়োতে চলে যাত্রার আরম্ভ থেকে শেষ পর্যন্ত, সে যখন ছুটির শেষে দেশে ফেরে ফেরার পথেও ভাব করে নিতে আসে সবার সঙ্গে, ফিরে এসেও সে চলে নতুন থেকে নতুনের সঙ্গে ভাব করে নিয়ে। আর আমি যে ভাবুক নয় আমি আসি মাত্র নতুন দেশ দেখে বেশ খেয়ে মোটা হ’য়ে শীত কি গ্রীষ্ম বেশ ভোগ করে, জলে স্থলে ঘুরে, অনেকখানি স্বাস্থ্য নিয়ে,—অনেকখানি ভূবি নিয়ে নয়। একটা কিছুর তত্ত্ব জানা এক, আর ভাব জানা অন্ত । বিশ্বের শিল্পকার্যের পুরাতত্ত্ব জানলেম এবং তাদের ভাবটা জেনে নিলেম— এই নিয়ে স্তফাৎ তত্ত্ববিদে আর ভাবুকে । কোনে কিছুর হৃদ্‌গত ভাব বাইরের কতকগুলো ভঙ্গি দিয়ে ধর পড়ে। রচনার ভঙ্গিতে কথার ভঙ্গিতে সুরের ভঙ্গিতে ওঠা বসা চলাফেরার ভঙ্গিতে ধরা পড়লো ভাব তবেই তো পেলেম মনের সঙ্গে মিলিয়ে বস্তুটির আসল রসট । শাস্ত্রকার বলেছেন, “যাহা গ্রীবা তিৰ্য্যক-করণ ও ভ্ৰনেত্রাদির বিকাশকারী তথা ভাব হইতে কিঞ্চিৎ প্রকাশক তাহাকে 'হাব' কহ যায়।” অন্তরের মধ্যে কুলুপ দেওয়া থাকে তো ভাব হয় না, কুলুপ খুল্লো তো ভাব হয়ে গেল এতে ওতে তাতে। হাবভাব দিয়ে সহজে জানা গেল এবং জানান দেওয়া চল্লো মনে কি আছে । চোখের ইসার হাতের ভঙ্গি ইত্যাদি সব ব্যাপার এবং গলার স্বর ইত্যাদি —এর তু’ল ভাব প্রকাশের ভাষা। সকালের আকাশ সন্ধ্যার আকাশ জানাচ্ছে রঙের ভাষায় নানা ভাব, একমাত্র ভাবুক জানে এই ভাষা যা দিয়ে মেঘ যাচ্ছে জানিয়ে ভাব-ফুল ফুটছে এবং ঝরছেও জানিয়ে ভাব। যখন কবি একটি গাছকে সবুজপর বলে বর্ণনা করলেন তখন এটা হ’তে পারে যে কবি নিজের মনের ভাবটা গাছেতে আরোপ করে’ গাছকে দেখছেন পরীরূপ, আবার এও হতে পারে যে গাছটি সত্য সত্যই আপনাকে ধরেছে কবির সামনে পরী সেজে। যাত্রার অধিকারী যখন যাত্রার পালার জন্ত গেল কবির কাছে তখন কবি নিজের কল্পনার সাহায্যে মনোমত করে পাত্রপাত্রীদের সাজিয়ে ছেড়ে দিলেন। সেখানে রূপ সমস্ত কবির কল্পনার কবির ভাবের দ্বারা মণ্ডিত হ’ল—যেমন ভীমের কল্পনা রাবণের কল্পনা । ভীম ও রাবণ চাক্ষুষ হ’ল ন কবির কাছে কিন্তু