পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা বিশিষ্ট অধিকার লাভ করিয়া ধন্ত হইয়া গেল। দুর্গাদেবীর সহিত জন্তান্ত ধর্মের দেবীকে যুক্ত করিয়া হিন্দুসমাজকে ব্যাপক করা হইল। চণ্ডীদেবীর মাহাত্ম্যজ্ঞাপক মঙ্গলকাব্যের মধ্যে প্রাচীন বাঙলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ রহিয়াছে বলিলেও অতৃক্তি হয় না ; নানাদিক দিয়া বিচার করিয়া কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গলকে অমূল্য বলা যাইতে পারে। কালকেতুর কাহিনীতে পাই ষে চণ্ডীদেবীর মর্ত্যে নিজ পূজা প্রচারের উদ্দেশ্যে স্বামী মহাদেবকে ছলনা করিযী ইন্দ্ৰপুত্র নীলাম্বরকে শাপ দেওয়াইলেন । ফলে সে ব্যাধপুত্ৰ কালকেতুরূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। বাল্যকাল হইতেই ইহার শারীরিক শক্তির পরিচয় পাওয়া যায় ; রূপে, গুণে মনোহর এই বালকের সহিত সুন্দরী ফুল্লরার বিবাহ হয় । যৌবনকালে কালকেতু যখন শীকার করিয়া জীবিক অর্জন আরম্ভ করিল তখন বনের পশুগণের মধ্যে ত্রাসের সঞ্চার হইল ; ডাঙ্গর বিক্রমে ভীত হইয়া পশুগণ চণ্ডীর শরণাপন্ন হইল। চণ্ডী তাহদের অভয় দিলেন এবং ফলে কালকেতু আর শীকারের সাক্ষাৎ পাঠলেন না । ( একদিন শীকাবে বাহির হইয়াই একটি গোসাপ দেখিল এবং এই অযাত্রা দেখার পর শীকার লাভেৰ আশ ছাডিয়া ইহাকে ধতুকে বধিয়া বনে প্রবেশ করিল D কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরিয়া শীকার না পাইযা বাড়ী ফিরিল এবং ফুল্লরাকে তাহ ছাড়াষ্ট্রয় রণধিতে বলিয়া বাসি মাংস বিক্রয়ের আশায় বাজারে গেল । এদিকে ফুল্লর সর্থীর বাড়ী হষ্টতে কিছু চাল ধাব করিয়া লইয়া গুহে ফিরিয়া দেখিল যে একটি সুন্দরী যুবতী উঠানে দাডাইয়া আছে। তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া ফুল্লরা যখন জানিল যে তাহার স্বামীই তাহাকে আনিয়াছেন, তখন নানা আশঙ্কায় তাহার মুখ শুকাইয়া গেল । সে তাঁহাকে স্বগৃহে ফিরিবার জন্ত নানা ভাবেই প্ররোচিত করিল ; কিন্তু কোনও ফল হইল না দেখিয়া স্বামীকে ডাকিতে গেল । বিস্মিত কালকেতু ঘরে ফিরিয়া সেই সুন্দরীকে দেখিয়া আরও বিস্মিত হইল । ফুল্লরার স্তায় নিজ গৃহে ফিরিবার নানা প্ররোচনা দিয়া ব্যর্থ হইয়া সে ক্রোধান্বিত হইল এবং ধনুকে শর জুড়িল। তখন সুন্দরী দশভূজ মূতি ধারণ করিলেন এবং সাতঘড়া মোহর ও একটি অঙ্গুরী দিয়া তাহাদিগকে নগর পন্তন করিতে বলিয়া অন্তধান হইলেন । কালকেতু গুজরাটের বন কাটাইয়া নগর পত্তন করিল এবং রাজার ন্যায় সেখানে বাস করিতে লাগিল। ভাড় দত্ত নামক এক শঠ নানা স্তোকবাক্যে جيمسمصحيحصدعمسممات (tషి