বৃষ্টি হইলে তাহার কৃষিকার্ধের সুবিধা হইত ; তাই ইহার অভাব হইগেই সে বৃষ্টির দেবতাকে তুষ্ট করিয়া জল প্রার্থনা করিত। আবার ব্যাঘ্ৰ, সৰ্প প্রভৃতির অতর্কিত আক্রমণের স্থত হইতে রক্ষণ পাইবার জন্য ইহাঙ্গের দেবতাঙ্কানে বিবিধ উপচারে পূজা করিয়া তুষ্ট করিত। প্রাচীন কালে এই ষে পূজার রীতি আরম্ভ হইয়াছিল ভfহা জস্তাবধি অব্যাহত ৰুছিয়াছে। পূজাপদ্ধতি স্থূল হইতে সূক্ষ্ম হইলেও মানুষের মন হইতে ভক্তি-শ্রদ্ধার সেই মূলভাব দূর নাই । প্রমাণ হিসাবে জামরা বলিতে পারি যে মোহেন-জো-জড়োতে যে ধ্বংস স্থপ আবিস্কৃত হইয়াছে তাহার মধ্যে সর্পপূজার নিদর্শন পাওয়া গিয়াছে। মোহেন জো-জড়োর সভ্যতাকে আকুজ্ঞানিক ২৫০০-৩০০০ বৎসরের প্রাচীন বলা হইরাখে । কাজেই, সর্পপূজাকেও অতি প্রাচীন বলিতে হয়। ইহাও দেখা যাইতেছে ৰে কোল, ভীল প্রভৃতি ভারতের আদিম আর্ঘেতর অধিবাসীদের মধ্যে সর্প-পূজা এখনও প্রাচীন স্কুল পদ্ধতিতেই প্রচলিত রছিয়াছে। কাজেই মনে হয় যে জাৰ্ঘেতর জাতির মধ্যে প্রচলিত সর্পপূজা পরবর্তীকালে আর্যধর্মে প্রবেশ লাভ করিয়া সংস্কৃত হয় এবং উহার উন্নত ধরণের পূজা পদ্ধতি সৰ্বসাধারণের ভক্তি আকর্ষণ করে । এরূপ অনুমানেরও যথেষ্ট কারণ আছে । ঐযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেন মহাশয় বলেন যে কানাড়া অঞ্চলে মনে মঞ্চৰ্ম্ম নামক ৰে লপ দেবতার পূজা প্রচলিত আছে তাহার পূজা-মন্দিরকে কীর মন্দির বলে। BBDuDSDDDD DDS BBB BB BB BBB BBBB BB BB উহাই ‘মনসা মাতা-তে পরিণত হইয়াছে। ইহা ছাড়া, যে মনসা গাছের নীচে এই মনসা দেবীর পূজা হইয়া থাকে তাহীকে তেলেগু ভাষায় চেংমুড় বলে ; চঞ্চৰসদাগর মনসাকে চেংমুড়ি বলিয়া উল্লেখ করিতেছে দেখিয়া এই দেবীটিকে স্বভাবতই দ্রাবিড় দেশের সহিত যুক্ত করতে পারা যায়। কিন্তু চেংমুড়ী বলিতে চেং মাছের মত চ্যাপটা মুড়ি বা মাথা বিশিষ্ট সপকেও বুঝাইতে পারে। ইহা ছাড়া, অনেক বাঙালী কবি মনসাকে ‘জাগুলি’ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । এই জাগুলি সম্ভবতঃ বৌদ্ধতান্ত্রিকদিগের জাগুলিদেবী, কারণ এই দেবীর বর্ণনা মনসাদেবীরই অনুরূপ । কাজেই, ব্রাহ্মণ্যধর্মের পুনরুত্থানের সময়ে বৌদ্ধদেবী জাগুলিটির মনসার কাঞ্জিলে আত্মগোপন করাও বিচিত্র নহে । প্রাটন পুরাণাদিতে নমসেবীর বিশেষ কোনও উল্লেখ দেখা যায় না। তৰে এই দেবী যে খ্ৰীষ্টীয় একাদশ শতাব্দীতে বাঙলাদেশে জনপ্রিয় হইয়া উঠিয়ছিলেন, এরূপ অকুমান করিতে পারা যায়। কারণ ঐ সময়েই নির্মিত হইয়াছিল বলিয়া প্রদর্শিত জনসা মূর্তি বাঙলার বহুস্থানেই পাওয়া গিয়াছে।
