পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন! কাজেই মহাদেব মনসাঁকে ডাকিলেন। মুনস র্তাহার গো ছাড়িবেন_ন ; তিনি সমস্তই করিতে প্রস্তুত যদি চাদ তাহার স্বীকৃত হইল এবং স্বামীকে বাচাইয়া লইযা গৃহে ফিরিয়া আসিল । চাদের আজ আনন্দ ধরে না ; তাহার সপ্ত ডিঙা ফিরিয়া আসিয়াছে, মৃত্ত পুত্রগণ এবং আত্মীয়স্বজন জীবন ফিরিয়া পাইয়াছে। আজ তাহার গৃহ সুখ এবং ঐশ্বর্ষে পরিপূর্ণ। কিন্তু যে মুহূর্তে সে মনসার সর্তের কথা জানিতে পারিল তখনই বিদ্রোহী চাদ সদাগর আবার জাগিয়া উঠিল—‘চেংমুড়া কানীর পূজা সে_কিছুতেই করিবে না। কিন্তু স্বাধী রমণীর পতিপরায়ণতা তাহার বজ্র-কঠোর চিত্তকে কোমল কৃরিয়া দিল ; সে মুখ ফিরাইয়া বামহস্তে মনসাকে পুষ্পাঞ্জলি দিল । এইভাবে মর্ত্যে মনসার পূজা প্রচারিত হইলে সকলে শাপান্তে স্বর্গে ফিরিয়া গেল । ».wمہ ہے پہن۔ م م ہمب বাঙলা দেশে বিষধর সপবহুলতার জন্য অথবা মনসামঙ্গল কাহিনীর মনোহারিত্বের জন্য ৰেহুলার ভাসান যেরূপ জনপ্রিয়তা লাভ করিয়াছে, খুব অল্প কাহিনীর ভাগ্যেই সেইরূপ ঘটিয়াছে । মনসামঙ্গল কাব্যের রচয়িতারূপে প্রায় একশত কবির পরিচয় পাওয়া গিয়াছে এবং তাহদের সম্বন্ধে যতটুকু জানা গিয়াছে তাহা হইতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে বাঙলাদেশের সর্বত্রই এই কাহিনী সমাদর লাভ করিয়াছে । এই শাখার আদি কবি কে তাহ জোর করিয়া বলিবার মত উপাদান এখনও আবিষ্কৃত হয় নাই। তবে পরবর্তীকালের দু’ একজন কবি কানা হরিদত্ত নামক একজনকে আদি কবির সম্মান দিয়াছেন । বিজয়গুপ্ত তাহার মনসামঙ্গলে লিখিয়া ছেন— প্রথমে রচিল গীত কানা হরিদত্ত । পুরুষোত্তমের একটি গীতে আছে— (কানা হরিদত্ত হরির কিঙ্কর মনসা হউক সহায় । } হরিদত্তেব কাব্যের যেটুকু পাওয়া গিয়াছে তাহা হইতে তাহার রচনাকাল জানা যায় না তবে একটা কথা বুঝিতে পারা য য় যে, বিজয়গুপ্ত র্তাহার কাব্যে হরিদত্ত সম্বন্ধে যে অশ্রদ্ধা প্রকাশ করিয়াছেন তাহ নিতান্তই অযৌক্তিক। উচ্চাঙ্গের না হইলেও হরিদত্ত নিতান্ত অকবি ছিলেন না । এই প্রাচীন কবির রচনার পরিচয় নিম্নোদ্ধত অংশে পাওয়া যাইবে দুই হস্তের শঙ্খ ইষ্টল গরল শঙ্খিনী ৷ মণিময় নাগ শোভে সুন্দর কিঙ্কিনী ॥ به جه