পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নির্ধাতন করিয়া দেবী পূজা আদায় করিলেন । । শীতলার মাহাত্ম্য প্রচারক চারিটি কাহিনী পাওয়া গিয়াছে ; ইহারা ভিন্ন ভিন্ন কবি-কতৃক রচিত বলিয়া মনে হয় যে, এগুলি এক-একটি স্বতন্ত্র কাব্য । গোকুল পালায় কৃষ্ণবলরামের বসন্ত রোগ শীতলার পূজা করিয়া সারিয়াছিল। বিরাটপালায় বিরাটরাজ্যে বসন্ত মহামারীরূপে দেখা দিলে শীতল পূজায় রোগের উপশম হয়। চন্দ্রকেতুর পালাটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ। চন্দ্রকেতুর পালায় শিব-ভক্ত রাজা চন্দ্রকেতুর রাজ্যে নিজ পূজা প্রচারের উদ্দেশুে শীতলাদেবী অসংখ্য লোকের মৃত্যু ঘটাইলেও রাজা শীতলার পূজা করিলেন না। দেবীর কোপে তাহার উনসত্তর পুত্র একে একে বসন্তে মরিল ; কনিষ্ঠ পুত্রবধু চন্দ্রকলা স্বামীর মৃত্যুর পর সহমরণে যাইতে প্রস্তুত হইলে শীতলার কুপার মৃতসঞ্জীবনী মন্ত্র শিক্ষা করিয়া স্বামীর জীবন ফিরাইয়। অনিল এবং গৃহে আসিয়া উনসত্তর জন ভাসুরকে পুনরায় বীচাইল । তথাপি চন্দ্রকেতু শীতলার পূজা করিলেন না ; তখন মহাদেব স্বয়ং আসিয়া তাছাকে শীতল পূজা করিতে আদেশ দিলেন। চন্দ্রকেতু বাধ্য হইয়া শীতলার পূজা করিল এযং মৃত ব্যক্তিদের প্রাণ ফিরিয়া পাইল । এইভাবে দেশে শীতলা পূজা প্রচলিত হইল । কাটাদিয়া নিবাসী নিত্যানন্দ চক্রবর্তীকেই এই শাখার আদি কবি বলা হইয়া থাকে । ইহার কাব্যে রচনাকাল নাই ; অনেকে তাহাকে ১৭ শতাব্দীর লোক বলিয়া অনুমান করেন । এই শাখার অন্য কবি দৈবকীনন্দ সম্ভবতঃ ১৮শ শতাব্দীর লোক। তঁহার কাব্যে ৬৮ প্রকার বসন্তের নাম প্রকার এবং প্রতিকারের উপায় বর্ণিত হইয়াছে ! আরও কয়েকজনের নাম শুনা যায় বটে, তবে কাব্য পাওয়া যায় নাই । এই শাখার রচয়িতাগণ কেহই প্রথম শ্রেণীর কবি নহেন ; মনসামঙ্গলের বেস্থলী কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে কাব্য রচনা করায় তাহারা অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করিতে পারেন নাই । দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্রতটবর্তী অঞ্চলে ব্যাঘ্র এবং কুম্ভীরের ভয়ে স্থানীয় জনসাধারণ দক্ষিণরায় এবং কালুরায়ের পূজা করিয়া থাকে। দক্ষিণরায়ের কাহিনীতে বড় ধ। গাজী এবং বনবিবির উল্লেখে ইহা হিন্দু, মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিশেষভাবে প্রচলিত হইয়াছে । দক্ষিণরায়ের কাহিনী চণ্ডীমঙ্গলকে অনুসরণ করিয়া রচিত হইয়াছে। বড়দহের সদানার দেবদত্ত তুরঙ্গ শহরে বাণিজ্যযাত্রা করির রাজদহে সমুদ্রমধ্যে এক চরে yA