>NS)○ বাঙ্গল-ব্যাকরণ । সমাসে অথবা পূৰ্ব্ববৰ্ত্তি সংস্কৃত শব্দ যোগে ব্যবহার করা গিয়৷ থাকে, যথা, ভারতাদির রচনায় প্রকাশ– জয়, নন্দ-নন্দন, ব্ৰহ্ম-বন্দন, কংসদণনব-ঘাতন । জয়, কালিয়-দমন, কেশি-মর্দন, জগন্নাথ জনাৰ্দ্দন ৷ জয়,গোপ-পালন, গোপী-মোহন, কুঞ্জকানন-রঞ্জন । জয়, মধু-স্থদন, বৈরি-গঞ্জন, বিপত্তিভয়-ভঞ্জন। জয়, তাপ-নাশন, পাপ-মোচন, পতিতাপূত-পাবন। জয়, ভব-তারণ, ভব-বারণ, ভারতভূত-ভাবন। কিন্তু যত প্রকার সংস্কৃত কর্তৃবোধক পদ বাঙ্কলায় চলিত আছে, তন্মধ্যে তুন, ণক, ও ণিন প্রত্যয় সংযোগে নিম্পন্ন পদসকল অধিক চলিত ॥ * * উক্ত প্রত্যয় ত্রয় ধাতুতে সংযুক্ত হয় এবং সংযোগ কালে তৃন, প্রত্যয়ের ন, শক ও fণন প্রত্যয়ের ণ হৎ গিয়া অবশিষ্ট তু, অক, ইন যোগ করাযায়। এবং ণক ও ধিন্ প্রত্যয়ের ৭ ইং যাওয়াতে তৰ্ত্তং সংযোগে ধাতুর ই-কারাদি অন্তস্বরের বৃদ্ধি হয়, কিম্ব অন্ত্য বর্ণের পূৰ্ব্ব বর্তি অকারের বৃদ্ধি ও লঘু স্বরের গুণ হয়। এবং তৃন প্রত্যয় যোগে ধাতুর অন্ত্য ইঙের এবং অন্ত্য বর্ণের পূর্ববৰ্ত্তি লঘুস্বরের গুণ হয়, (১৯ ও ২০ পৃষ্ঠায় সন্ধির ১, ২, ও ৩ সংঙ্কেত দেখ), যথা, क्ल+ङ्कन (-न)=कई। . इ=१क(—१)=दगंब्लक । क्ल+भिन (—৭)=কারিন * ॥ & আকারান্ত ধাতুর উত্তর ণক ও শিন প্রত্যয়ের পূৰ্ব্বে (যন –ন, অর্থাৎ য হয়, যথা, দ1+ণক=দায়ক, প4-ণিনক্ষপায়িন ॥ কিন্তু অনেক ধাতুর উত্তর তৃন ও শিন প্রত্যয়ের, এবং কতিপয় ধাতুর উত্তর ণক প্রত্যয়ের (সচরাচর) ব্যবহার নাই। এ্যন্ত কর্তৃপদ এবং ত্ত প্রত্যয়ান্ত পদের মধ্যে কেবল কতিপয় বাঙ্গলায় ব্যবহৃত আছে, যে সকল সংস্কৃত ক্রিয়াবাচক শব্দ কর্তৃবোধক পদ, ক্ত প্রত্যয়ান্ত পদ তিনই বাঙ্গলায় ব্যবহৃত, তাহা অকারাদি বর্ণের ক্রমানুসারে নিম্নে প্রকাশিত হইল। so ot * ৫৭ ও ৬৩ পৃষ্ঠ দেখ ।
