পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২S বাঙ্গলা-ব্যাকরণ । তৃতীয় পরিচ্ছেদ । -ബ് শবদ । যে সকল চিকুদ্বারা কোন অভিপ্রায় লিপিবদ্ধ করাযায় তাহার নাম অক্ষর বা বর্ণ। দুই বা অধিক অক্ষর যথ। ক্রমে বিন্যস্ত হইয়া কোন বস্তু বা অর্থ বোধক হইলে ঐ বিন্যস্ত অক্ষর সমুহকে ব্যাকরণ শাস্ত্রে শব্দ কহে, যেমন মধু বারি। ঐ শব্দ যখন প্রয়োগ করাযায় তখন তাহাকে পদ কহে, সংস্কৃত ভাষায় শব্দ মাত্রের আদ্যবস্থায় প্রয়োগ হইতে না পারাতে, শবদ সকল বিভক্তির যোগ, বা (যোগান্তে) লোপ বিনা পদ বাচ্য হয় না। কিন্তু বঙ্গভাষায় প্রায় তাবৎ শব্দ বিভক্তি যুক্ত (যথ ব্রাহ্মণের+) ও বিভক্তি লুপ্ত (যথা ব্রহ্মণ ডাক)। বা বিভক্তি-হীন (যথা ব্রাহ্মণS) তিন অবস্থাতেই এক ৰূপে প্রয়োগশীল হওয়াতে, প্রয়োগ করা শব্দ মাত্রকে যে কোম অবস্থা প্রাপ্ত কেন হউক না পদ বলা যাইতে পারে । দুই বা অধিক পদ যথাক্রমে বিন্যস্ত হইয়া কোন অভিপ্রায়কে সম্পূর্ণ ৰূপে প্রকাশ করিলে ঐ বিন্যস্ত পদ সমূহকে বাক্য বলা যায়। এবং অসম্পূর্ণ ৰূপে প্রকাশ করিলে বাক্যাংশ বা অসম্পূর্ণ বাক্য বলা ষায় । - শব্দ মাত্র আদৌ দুই ভাগে বিভক্ত, অব্যয় ও স-ব্যয় । অব্যয় তাহার নাম যাহার ৰূপ হয় না, যথা, হইতে, দিয়া, এবং, অাহা ইত্যাদি। স-ব্যয় তাহাকে বলে যহি বিভক্তি আদির যোগে ৰূপ করা যায় । اسلام

  • অতএব শব্দের বা পদের অল্প তম ভাগ তীক্ষর। + এস্থলে ব্রাহ্মণ শব্দে সম্বন্ধ স্থচক এর বিভক্তি যুক্ত হইয়াছে।

এস্তানে কৰ্ম্মকারকীয় কে বিভক্তি লুপ্ত হইয়াছে। ১ এস্থলে ব্রাহ্মণ শব্দ এক বচনান্ত কর্তৃ পদ—এবং ভাষায় ঐ পদ সম্বন্ধীয় কোন বিভক্তি নাই, প্রায় তাবৎ শব্দ আদ্যবস্থায় ঐ পদ রূপে গৃহীত ও ব্যবহৃত। w | অব্যয়ের পর শব্দ যোগ করিয়া অথবা শব্দ যোগ বিনা কোন স্থলে