পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃሦ বাঙ্গলা-ব্যাকরণ । পাচ হইতে আটার সংখ্যার উক্ত প্রকার পূরণ বিশেষণ বাঙ্গল। সংখ্যাবাচক শব্দের উত্তর ই যোগে নিম্পন্ন, যথা, সাত-ই, আটার-ই । উনিশ অবধি (বাঙ্গল) সংখ্যাবাচক শব্দ আ-কার যোগে (উক্ত রূপ) পুরণ বিশেষণ হয়, ও হইতে পারে, যথা, উনিশ, ত্রিশ, ইত্যাদি। বিবেচনা | বোধ হয় উপরি দুর্শিত তাবৎ বিশেষণই হিন্দী হইতে গৃহীত হইয়াছে। তন্মধ্যে ই ভাগান্ত শব্দসকল হিন্দী বী ভূগোন্ত স্ত্রীলিঙ্গ বিশেষণ, এবং আ-কারান্ত বিশেষণ সকল হিন্দী ওয়া, বা অ! ভাগান্ত পুং লিঙ্গ বিষেশণ বোধ হইতেছে। কিন্তু সে লিঙ্গভেদ বাঙ্গলাতে নাই, যেহেত্ত ঐ (স্ত্রীলিঙ্গ পুলিঙ্গ) বিশেষণ সকল যে কোন লিঙ্গবাচক উক্ত প্রকার বিশেষ্যের পূৰ্ব্বে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। উক্ত প্রকণর বিশেষণ সকল সংস্কৃত না হওয়াতে তদুত্তর সংস্কৃত শব্দ ব্যবহাৰ্য্য নয়, (এবং ব্যবহার করিলেও সুশ্রাব্য হয় না) এই নিমিত্তে পারসী শব্দ রোজ কিম্ব আরবী শব্দ তারাঁখ তদুত্তর প্রফাশিত বা উহ থাকে, যথা, দোসর রোজ বই দোসর দিবস বলা যায় না, এবং ঐ রূপ দ্বিতীয় দিবস বই দ্বিতীয় রোজ বা তারাঁখ বলা যায় না। সামান্য কথোপকথনে পহেলা শব্দ পৈলে, চোঁট শব্দ চৌটো বলাযায়, এবং আকণরান্ত শব্দের অন্ত্য অl,একারে পরিবর্তিত হয়, যথা, বিশা স্থলে ন্ডিশ বলা যায়। উপরি দর্শিত সংস্কৃত পূরণ বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গশকরে তিথির বিশেষণ হয়,* এবং ঐ বিশেষণের উত্তর তিথি শবদ কদাচিৎ প্রকাশিত থাকে, যথা, অদ্য পঞ্চমী বা পঞ্চমী তিথি, কিন্তু পঞ্চমী বলিলেই পঞ্চমী তিথি বুঝায়, পঞ্চমী তিথি বুলার আবশ্যক নাই এবং প্রায় বলাও যায় না । এক রূপ সম্পর্ক বিশিষ্ট ভূত বা ভগিনী সমূহকে সংস্কৃত পুংলিঙ্গ স্ত্রীলিঙ্গ পুরণ বিশেষণে বিশেষ করা যায় ও যাইতে পারে, যথা, দ্বিতীয় মাতুল, তৃতীয় মাতুল, দ্বিতীয় ভগিনী, তৃতীয় ভগিনী, ইত্যাদি ; কিন্তু সচরাচর ব্যবহারে বড়, মেজ বা মধ্যম, সেজন,নতুন (স্তুতন) ছোট ইত্যাদি বিশেষণ অধিক চলিত । QA o বিশেষ্যের পর বাঙ্গল সংখ্যাবাচক বিশেষণ ব্যবহার করিলে ঐ সংখ্যার নিশ্চয়ে সন্দেহ প্রকাশ হয়, যথা, টুকেপঞ্চাশ বলিলে পঞ্চাশ বা তন্নিকটবর্তি সংখ্যক বোধ হয়। سسات

  • কিন্তু প্রথম তিথির বিশেষ নাম প্রতিপৎ ও শুক্ল পক্ষের শেষ তিথির নাম পূর্ণিমা এবং কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথির নাম,অমাবস্যা থাকাতে ঐ তিথি ত্রয়ের পূর্বে প্রথম ও পঞ্চদশী বিশেষণ ব্যবহৃত হয়না, r