পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।
১৩৫

ইকার ও উকারের গুণ হয়। যথা; নী-য, নেয়; হু য, হব্য;[১] দুহ্-য, দোহ্য ইত্যাদি।

 য প্রত্যয় পরে থাকিলে ধাতুর আন্তস্থিত ঋ ঋৃ স্থানে আর্ হয়। আর পবর্গান্ত ও জন্, বধ্, শক্ এবং সহ্ ধাতু ভিন্ন অন্য ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উপান্ত্য অকারের বৃদ্ধি হয়।[২] যথা; কৃ-য, কার্য্য; বৃ-য, বার্য্য; দৃ-য, দার্য্য; গ্রহ-য, গ্রাহ্য; ভজ-য, ভাজ্য। অন্যত্র; গম্য, লভ্য, শক্য, সহ্য ইত্যাদি।

 য প্রত্যয় পরে থাকিলে আকারান্ত ধাতু একারান্ত হইয়া থাকে। যথা; স্থা-য, স্থেয়; দা-য, দেয়; পা-য, পেয়; হা-য, হেয়, মা-য, মেয়।


  1. ও কার এবং ঔকারের পর কৃৎ প্রত্যয়ের য স্বরবর্ণের কার্য্য করে বলিয়া স্বরসন্ধির নিয়মানুসারে কার্য্য হইল।
  2. যাহার পূর্ব্বে উপসর্গ নাই এমত গদ, মদ, পদ, যম, চর ধাতুর বৃদ্ধি হয় না। যথা, গদ্য, মদ্য ইত্যাদি। আর বৃ, ই, দৃ ও স্তু ধাতুর বৃদ্ধি গুণ কিছুই হয় না। এবং ধাতু অন্তে একটী ৎ হয়। আর কৃ ও ভৃ ধাতুর বিকল্পে বৃদ্ধি হয়। যথা; কৃত্য, কার্য্য; ভূত্য, ভার্য্য ইত্যাদি।