তেন। লার্ড উইলিয়ম বেণ্টিক, দেশীয় লোকদিগের নাম সম্ভ্রম বাড়াইবার নিমিত্ত, তাঁহাদিগকে উচ্চ বেতনে্ উচ্চ পদে নিযুক্ত করিতে মনস্থ করিলেন। এই বৎসরে মুন্সেফ ও সদরআমীনদিগের বেতন ও ক্ষমতার বৃদ্ধি হয় এবং উচ্চতর বেতনে অতি সম্ভ্রান্ত প্রধান সদরআমীনী পদ নূতন সংস্থাপিত হয়। দেওয়ানী বিষয়ে প্রধান সদর আমীনদিগের যথেষ্ট ক্ষমতা হইল। রেজিষ্টরের পদ ও প্রবিন্সলকোর্ট উঠিয়া গেল; কেবল দেশীয় বিচারকের ও জিলা জজের আদালত এবং সদর দেওয়ানী আদালত ৰজায় থাকিল। এই নূতন নিয়ম, বাইশ বৎসর হইল, প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। ইহার ফলিতার্থ এই যে, মোকদ্দমার প্রথম শ্রবণ ও তাহার নিষ্পত্তি করণের ভার দেশীয় বিচারকদিগের প্রতি অর্পিত হইয়াছে; আর ইঙ্গরেজ জজদিগের উপর কেবল আপীল শুনিবার ভার রহিয়াছে।
লার্ড উইলিয়ম বেণ্টিক ফৌজদারী আদালতেরও অনেক সুরীতি করেন। পূর্ব্বে, দায়রার সাহেবেরা ছয় মাসে একৰার আদালত করিতেন; কিয়ৎকাল পরে, কমিসনর সাহেবেরা তিন মাসে এক বার। পরিশেষে এই হুকুম হইল যে সিবিল ও সেশন জজেরা প্রতি মাসে এক এক বার বৈঠক করবেন। তাহাতে, কয়েদী আসামী ও সাক্ষীদিগকে, অধিক দিন কয়েদ থাকিয়া, যে ক্লেশ পাইতে হইত, তাহার অনেক নিবারণ হইল। ফলতঃ, কার্য্যদক্ষ লার্ড উইলিয়ম বেণ্টিক বাহাদুরের অধিকার কালে নানা সুনিয়ম সংস্থাপিত হয়; সে সমুদায়েরই প্রধান উদ্দেশ্য