জাপিলীয় মহানায়ক প্রতাপধবল খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্দ্ধে বিদ্যমান ছিলেন। এই বংশের সর্ব্বপ্রাচীন খোদিতলিপি খৃষ্টীয় ১১৫৮ অব্দে খোদিত হইয়াছিল[১]। রোহিতাশ্ব দুর্গে আবিষ্কৃত একখানি অপ্রকাশিত শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, প্রতাপধবল দুর্গমধ্যে কতকগুলি কীর্ত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন[২]। ১১৫৮ খৃষ্টাব্দের শিলালিপি আরা জেলায় তুত্রাহি জলপ্রপাতের নিকটে উৎকীর্ণ আছে। উক্ত জেলায় তারাচণ্ডী নামক স্থানে প্রতাপধরলের আর একখানি শিলালিপি আছে[৩]। এই সমস্ত শিলালিপিতে কান্যকুব্জ-রাজ্যের কোন উল্লেখই দেখিতে পাওয়া যায় না কিন্তু তারাচণ্ডীর শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, কয়েক জন ব্রাহ্মণ কান্যকুব্জ-রাজ বিজয়চন্দ্রদেবের দেউ নামক জনৈক দাসকে উৎকোচ দ্বারা বশীভূত করিয়া কলহণ্ডী এবং বড়পিলা নামক গ্রামদ্বয় প্রাপ্ত হইয়াছে। এই শিলালিপি দ্বারা প্রতাপধবলদেব জনসাধারণকে অবগত করাইতেছেন যে, পূর্ব্বোক্ত গ্রামদ্বয়ের রাজস্ব পূর্ব্ববৎ সংগৃহীত হইবে। ইহা হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, মহানায়ক প্রতাপধবলদেব সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিলেন না। কান্যকুব্জ-রাজগণ তাঁহার অধিকারস্থিত গ্রামগুলি যাহাকে ইচ্ছা দান করিতে পারিতেন। বিজয়চন্দ্রের পুত্র জয়চ্চন্দ্রেদবের অধিকার পূর্ব্বে গয়া অবধি বিস্তৃত ছিল; কারণ, ১২৪০ হইতে ১২৪৯ বিক্রমাব্দের মধ্যে (১১৮৩-১১৯২ খৃষ্টাব্দ) কোন সময়ে উৎকীর্ণ জয়চ্চন্দ্রদেবের নামযুক্ত একখানি শিলালিপি বুদ্ধগয়ায় আবিষ্কৃত হইয়াছে[৪]। এই সময়ে মগধের অধিকার লইয়া পাল, সেন ও গাহড-
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৩৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪৬
বাঙ্গালার ইতিহাস।