খোদিতলিপি আছে, আবিষ্কারের পরে এই খোদিতলিপির অধিকাংশ ক্ষয় হইয়া গিয়াছে। কনিংহাম তাঁহার মহাবোধিগ্রন্থে এই খোদিতলিপির যে চিত্র প্রকাশ করিয়াছেন[১], পাঠোদ্ধারে তাহাই এখন একমাত্র অবলম্বন। এই খোদিতলিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, কোন অব্দের ৬৪ সম্বৎসরে মহারাজ তুকমলের রাজ্যে এই বোধিসত্ত্বমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল[২]। এই অব্দ শকাব্দ কি গুপ্তাব্দ, তাহা স্থির হয় নাই। অক্ষরতত্ত্ববিদ্ ডাক্তার বুলারের মতে ইহা গুপ্তাব্দ[৩], এই মত অনেকেই সমর্থন করিয়াছেন[৪] কিন্তু ডাক্তার লুডার্সের মতে ইহা শকাব্দ[৫], ডাক্তার ফ্লিট্ তাঁহার সমর্থক কিন্তু এই খোদিতলিপির অক্ষরসমূহ সম্রাট্ সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ-প্রশস্তির অক্ষরের অনুরূপ, সুতরাং ইহা কোন মতেই খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর খোদিতলিপি হইতে পারে না।
খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগে বিস্তৃত কুষাণসাম্রাজ্য বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডরাজ্যে বিভক্ত হইয়া গিয়াছিল। এই সময়ে বঙ্গে বা মগধে কোন্ জাতীয় কোন্ বংশের অধিকার ছিল তাহা অদ্যাপি জানিতে পারা যায় নাই। মগধে গুপ্তরাজবংশ তখনও সম্রাট্ পদবীলাভ করেন লাই, শকরাজগণ তখনও উত্তরাপথের নানাস্থান অধিকার করিয়া আছেন। এই সময়ে রাজপুতানার মরুপ্রদেশের পুষ্করণানগরের