কালীঘাটে দ্বিতীয় কুমারগুপ্তের বহু সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[১]। দ্বিতীয় কুমারগুপ্ত সম্ভবতঃ শৈশবে সিংহাসনারোহণ করিয়াছিলেন এবং বয়ঃপ্রাপ্ত হইবার পূর্ব্বেই সিংহাসনচ্যুত হইয়াছিলেন অথবা দেহত্যাগ করিয়াছিলেন। কারণ সারনাথে আবিষ্কৃত আর একখানি শিলালিপি হইতে জানা গিয়াছে যে, ১৫৭ গৌপ্তাব্দে (৪৭৬ খৃঃ অব্দ); বুধগুপ্ত নামক আর একজন রাজা গুপ্তসাম্রাজ্য লাভ করিয়াছিলেন[২]। সারনাথের শিলালিপিদ্বয় ও দামোদরপুরের তাম্রলিপিগুলি আবিষ্কৃত হইবার পূর্ব্বে ঐতিহাসিকগণ স্থির করিয়াছিলেন যে দ্বিতীয় কুমারগুপ্তের মৃত্যুর সহিত প্রাচীন গুপ্তরাজবংশ লুপ্ত হইয়াছিল এবং এই সময়ে অথবা ইহার কিছু পূর্ব্বে গুপ্তসাম্রাজ্য ধ্বংস হইয়াছিল কিন্তু সারনাথে আবিষ্কৃত বুধগুপ্তের শিলালিপি এবং দামোদরপুরে আবিষ্কৃত দুইখানি তাম্রলিপি হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, স্কন্দগুপ্তের পরে বুধগুপ্ত নামক একজন রাজার অধিকার গৌড়দেশ ও মধ্যদেশ হইতে মালবদেশ পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই বুধগুপ্ত কে ছিলেন তাহা অদ্যাপি জানিতে পারা যায় নাই। তাঁহার নাম দেখিয়া বোধ হয় যে তিনি প্রাচীন গুপ্তরাজবংশ সম্ভূত। সারনাথের শিলালিপি ও দামোদরপুরের তাম্রলিপি আবিষ্কৃত হইবার পূর্ব্বেও বুধগুপ্তের অস্তিত্ব অবিদিত ছিল না, কারণ বহুপূর্ব্বে মধ্যপ্রদেশে ইরাণ নামক স্থানে আবিষ্কৃত একখানি শিলালিপি হইতে জানা গিয়াছিল যে, ১৬৫ গৌপ্তাব্দে বুধগুপ্ত নামক একজন রাজা উক্ত ভূভাগের অধিপতি ছিলেন এবং তাঁহার অধীনে মহারাজা উপাধি-
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
বাঙ্গালার ইতিহাস।