পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ১১৩ ফিরোজ শাহের দ্বিতীয় গোঁড়াভিযান শেষ হইলে বাঙ্গণলার স্বাধীন সুলতানগণ প্রায় দ্বিশতবর্ষ কাল দিল্লীর সুলতানগণের সংস্পর্শে আসেন নাই । ফিরোজ শাহের পরে মোঙ্গেল চাগতাইবংশীয় বাবর বাদশাহের পুত্র হুমায়ুন বাদশাহ ফরীদ-উদ্দীন শের শাহকে দমন করিবার জন্য ৯৪৫ হিজরায় (১৫৩৭ খৃষ্টাব্দে ) গৌড়দেশ আক্রমণ করিয়াছিলেন ৭৬৬ হিজরায় সিকন্দর শাহের আদেশে পাণ্ডুয়ার প্রসিদ্ধ আদিন মসজিদ নিৰ্ম্মাণ আরম্ভ হইয়াছিল। রিয়াজ-উস-সালাতীন অনুসারে সিকন্দর শাহ নিৰ্ম্মাণ-কাৰ্য্য শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই আদিনা মসজিদে আবিষ্কৃত শিলালিপি অনুসারে উহ্য ৭৭০ হিজরার রজব মাসের ষষ্ঠ দিবসে সিকন্দর শাহ কর্তৃক লিখিত হইয়াছিল ৫ ও । আদিনা মসজিদের ন্যায় বিশাল মসজিদ ভারতবর্ষে অন্য কোন স্থলে কখন নিৰ্ম্মিত হয় নাই। রিয়াজ-উস-সালাতীন অনুসারে এই মসজিদনিৰ্ম্মাণ শেষ হয় নাই। প্রজনীকান্ত চক্রবর্তী মহাশয়ের মতানুসারে একটি বৌদ্ধ স্তপে ধ্বংস করিয়া ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল আদিনার ধ্বংসাবশেষ মধ্যে পাষাণ-নিৰ্ম্মিত বহু হিন্দু দেব-দেবী ও হিন্দু মন্দিরের উপকরণ আবিষ্কৃত হইয়াছে। আদিনা মসজিদে বেদীর ( মিম্বর ) নিম্নে ভগ্ন সোপানাবলী মধ্যে অল্পদিন পূৰ্ব্বে একটি ভগ্ন দশভূজ মূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যাইত “ । আদিন। মসজিদ দৈর্ঘ্যে পাঁচশত ফুট ও প্রস্থে তিনশত ফুট। মসজিদের মধ্যস্থলের প্রশস্ত অঙ্গন এবং অঙ্গনের তিন দিকে দুই শ্রেণীর স্তম্ভ ও দুইটি প্রাচীরবাহিত তিন শ্রেণীর গুম্বজ ছিল । চতুৰ্থদিকে চারি শ্রেণীর স্তম্ভ ও দুইটি প্রাচীরবাহিত পাচ শ্রেণীর গুম্বজ ছিল । এই দিকের মধ্যদেশে বিশাল তোরণের নিয়ে অপরূপ কারুকার্য্যশোভিত ব্রহ্মশিলা (কটি পাথর) নিৰ্ম্মিত একটি বেদী ও ও দুইটি মিহরাব বা খিলান আছে। এই দিকের কিয়দংশ দ্বিতল, ইহা বাদশাহ-কা-তখং নামে পরিচিত। মসজিদের বহির্দেশে সিকন্দর শাহের (৫৪) মন্ত খব,-উৎ-তওয়ারিখ, ইংরাজি অনুবাদ, প্রথম ভাগ পৃ: ৪৫৬--৫৮। (৫৫) রিয়াজ-উস-সালাতন, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ১০৫ ৷ (**) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, 1873, Vol. XLII. p. 257. (११) cऔरफ़्द्ध हैडिहाण, विडौञ्च ष७, श्रृं: *४ ।। (ov) Ravenshaw's Gaur—its ruins and Inscriptions, plate 40. ৮-দ্বিতীয় ভাগ