পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$$$ বাক্ষালার ইতিহাস এবং ইহাতে বারবকৃ শাহের মালিকৃ উপাধি দেখিতে পাওয়া যায়। তারিখ, ই-ফেরেশতা অনুসারে বারবক শাহ সুবিচারক ও সুপণ্ডিত ছিলেন। তাহার রাজাকালে কাজিগণ কোনও বিষয়ে বিচার করিতে অক্ষম হইলে তিনি স্বয়ং বিচারের ভার গ্রহণ করিতেন এবং কেহ প্রকাশ্বে মদ্যপান করিতে সাহস করিত না - ) রুকন-উদ্দীন বারবক্ শাহের রাজ্যকালে ইসমাইল গাজী নামক র্তাহার একজন সেনাপতি উড়িষ্যা ও কামরূপ রাজ্য আক্রমণ, করিয়াছিলেন । রঙ্গপুর জেলায় কাটাছুয়ার নামুক স্থানে ইসমাইল গাজীর সমাধিস্থানে, একজন ফকীরের নিকটে রিসালৎ-উশ-শুহাদী নামক একখানি পারস্যভাষায় লিখিত গ্রন্থ আছে ; এই গ্রন্থ অনুসারে ইসমাইল গাজী কোরেশ জাতীয় আরব ছিলেন এবং মক্কায় তাহার জন্ম হইয়াছিল। তিনি বারবকৃ শাহের রাজ্যকালে লক্ষ্মণাবতীতে আসিয়াছিলেন । গৌড়নগরের উত্তরদিকে ছুটিয়াপটিয়া নামক একটি নদী বা জলাভূমি ছিল, ইহা বর্ষাকালে জলপূর্ণ হইয়া গোঁড় প্রদেশের অধিবাসিগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করিত। বারবকৃ শাহের রাজ্যকালে এই নদী বা জলাভূমির চারিদিকে বহুবার আলি বন্ধনের চেষ্টা হইয়াছিল, কিন্তু কোনও বার উদ্যম সফল হয় নাই । ইসমাইল ছুটিয়াপটিয়ার উপরে সেতু নিৰ্ম্মাণ করিয়া যশোলাভ করিয়াছিলেন। রিসালৎ-উশ-শুহ্যদা : অনুসারে মন্দারণের রাজা গজপতি বিদ্রোহী হইলে ইসমাইল র্তাহার বিরুদ্ধে প্রেরিত হইয়াছিলেন এবং গজপতিকে পরাজিত ও বন্দী করিয়াছিলেন । এই সময়ে সম্ভবতঃ মন্দারণ উড়িষ্ঠার গঙ্গবংশীয় রাজগণের অধিকারভুক্ত ছিল। কিয়ংকাল পরে ইসমাইল কামরূপরাজ কামেশ্বরের রাজ্য আক্রমণ করিতে প্রেরিত হইয়াছিলেন, কিন্তু কামেশ্বর ইসমাইলের গুণে মুগ্ধ হইয়া আত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন ও মুসলমানধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছিলেন । আসামের আহমূবংশের ইতিহাসে কামেশ্বর নামক কোনও রাজার নাম পাওয়া যায় না । আহমৃবংশীয় সুফাকফার পুত্র সুসেনফা ১৪৩৯ হইতে ১৪৮৮ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত কামরূপের অধীশ্বর ছিলেন ’’ ইসমাইল কর্তৃক পরাজিত কামেশ্বর সম্ভবতঃ (৯) তারিখ-ই-ফেরেশত, পারস্য মূল, নঙলাকশোর প্রেস, লক্ষে, ৭ম ভাগ, পেঃ ২৯৮ । (So) Journal of the Asiatic Society of Bengai, Old Series, Vol. XLIII, pp. 215-20. (SS) Gait's History of Assam, p. 82.