পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հso বাঙ্গালার ইতিহাস করিতেছেন। ইহা শুনিয়া নসরৎ শাহ খোজা মাঙ্গিক মর্জানকে গুজরাটের সুলতান বহাদর শাহের নিকট দূতস্বরূপ প্রেরণ করিয়াছিলেন। মালিক মর্জান মাখুনগরে সুলতান বহদির শাহের সাক্ষাং পাইয়াছিলেন এবং তথায় সুলতান বহদির শাহ উহাকে একটি খিলাত দিয়াছিলেন । আসামরাজ সুহুঙ্গ মুঙ্গের রাজাকালে’ ১৫২৭ খৃষ্টাব্দে গৌড়ীয় মুসলমানগণ আহম্রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন ৮। বুরঙ্গীসমূহপ্রদত্ত তারিখ সত্য হইলে সুলতান নাসির-উদ্দীন নসরৎ শাহের রাজ্যকালে আহম্রাজ্য গৌড়ীয় মুসলমানগণ কর্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল। স্ব্যর এডওয়ার্ড গেটের মতানুসারে, রিয়াজ-উস্-সালাতীনে হোসেন শাহের রাজ্যকালে গৌড়ীয় মুসলমানগণ কর্তৃক আহম্রাজ্য আক্রমণের যে বিবরণ প্রদত্ত আছে, সেই আক্রমণ ১৫২৭ খৃষ্টাব্দে হইয়াছিল ৯ । কিন্তু ১৫১৯ খৃষ্টাব্দে আলা-উদ্দীন হোসেন শাহের মৃত্যু হইয়াছিল, সুতরাং স্থার এডওয়ার্ড গেটের অনুমান সত্য হইতে পারে না। বুরঞ্জীসমূহ অনুসারে মুসলমান সেনাপতির নাম “বড় উজীর” । আহম্সেনা মুসলমানদিগের উভয় পার্শ্ব আক্রমণ করিয়া তাহাদিগকে পরাজিত করিয়াছিল। তাহারা বুরাই নদীর তীর পর্য্যন্ত মুসলমানদিগের পশ্চাদ্ধাবন করিয়া চল্লিশটি অশ্ব এবং কুড়ি হইতে চল্লিশটি কামান অধিকার করিয়াছিল। আহম্সেনার বিজয়ের সংবাদ পাইয়া সুহুঙ্গ মৃঙ্গ সলা পর্যন্ত অগ্রসর হইয়াছিলেন এবং দুইমুনিশিলা অধিকার করিতে সৈন্য প্রেরণ করিয়াছিলেন। বুরাই নদীর সঙ্গমস্থলে একটি দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল এবং ফুলবাড়ীতে সেনানিবাস স্থাপিত হইয়াছিল। ইহার পরে সুহুঙ্গ মুঙ্গ রাজধানীতে প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন। ১৫২৯ খৃষ্টাব্দে সুহুঙ্গ মুঙ্গ পুনরায় সলায় আসিয়াছিলেন এবং কলঙ্গ ও ভরালি নদীতীর অবলম্বন করিয়া গৌড়েশ্বরের রাজ্য আক্রমণ করিবার জন্য সৈন্য প্রেরণ করিয়াছিলেন। উভয় সেনাদল যে সমস্ত বাঙ্গালী প্রজা বন্দী করিয়া আনিয়াছিল সেই সমস্ত বন্দী ও লুণ্ঠন লন্ধ অর্থ আহম্রাজকে প্রদত্ত হইয়াছিল। ইহার পরে

(s०) बिब्रांज.-छन्-गांनाडीन. श्रब्राणि अब्रुवांन, शृः ४०० ।। (ss) Gait's History of Assam, p. 83. (sv) Ibid, p. 87, (ss) Ibid, note;