বাঙ্গালাদেশে প্রশ্ন ও প্রস্তরযুগে যে কয়টি শিল্পনির্মিত জয় জাৰিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার সকলগুলিই দেশের ভিন্ন ভিন্ন সীমান্ডে পাওয়া গিয়াছে। বাক্ষালাদেশ পলিমাটির দেশ ; ভারতবর্ষের অন্তান্ত দেশের তুলনায় ইহা বয়সে নবীন। কিন্তু এই নবীন দেশের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে অতি প্রাচীন ভূমি আছে ; এই সকল প্রদেশেই বাঙ্গালাদেশের প্রত্ন-প্রস্তরযুগের পাষাণনির্মিত আয়ুধ আবিষ্কৃত হইয়াছে। দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে চট্টগ্রামের পার্বত্যপ্রদেশে, যে সমস্ত অন্ত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহা আকারে প্রত্ন-প্রস্তরযুগের স্থায় হইলেও, ভূতত্ত্ববিদ পণ্ডিতগণের মতানুসারে অপেক্ষাকৃত আধুনিক । জাৰ্য্যাবর্তের উত্তর সীমান্তে হিমালয়ের পাদমূলে ও পার্বত্য উপত্যকা সমূহে, আদিম মানবের বাসের কোন চিহ্নই অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই । বঙ্গদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমাভস্থিত পার্বত্যপ্রদেশে ছুইটি মাত্র প্রত্ন-প্রস্তরযুগের শিলানিৰ্মিত আয়ুধ অস্থাবধি আবিষ্কৃত হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত এই জাতীয় অার একটি অস্ত্র প্রায় পঞ্চাশৎ বৎসর পূর্বে বঙ্গদেশের সমতলক্ষেত্রে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ১৮৬৭ খৃষ্টাৰে ভূতত্ত্ববিদ বল হুগলী জেলার গোবিন্দপুর গ্রামের এগার মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে কুণকুণে গ্রামে একটি হরিতাভ প্রস্তরনির্মিত কুঠারফলক (Boucher or celt) আবিষ্কার করিয়াছিলেন । এই সময়ে রাণীগঞ্জের নিকট বোখারোর কয়লার খনিতে এই জাতীয় জার একটি কুঠারফলক আবিষ্কৃত হুইয়াছিল । ইহার দুই বৎসর পরে সীতারামপুরের নিকটবর্তী ঝরিয়ার কয়লার খনিতে আর একটি কুঠারফলক আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ইহাই এখন কলিকাতা মিউজিয়ামে দেখিতে পাওয়া যায়” । পূর্বোক্ত অস্ত্ৰৰয় বোধহয় ইংলণ্ডে প্রেরিত, হুইয়াছে। প্রস্তু-প্রস্তরযুগের এই তিনটি প্রহরণ ব্যতীত উত্তরাপথের পূর্বখণ্ডে জার চারিটি মাত্র শিলানিৰ্মিত প্রাচীন অস্ত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই চারিটি জন্ত্র উড়িয়া-প্রদেশের টেকনোল, আঙ্গুল, তালচের ও সম্বলপুরে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। স্ববিখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ পণ্ডিত ভিলেন্ট বল মাত্রাজে আবিষ্কৃত প্রত্ন-প্রস্তরযুগের অগ্রসমূহের সহিত বঙ্গদেশের ও উড়িষ্কার এই যুগের নিদর্শনসমূহের তুলনা করিয়া দেখাইয়াছেন যে, এই উভয় প্রদেশের প্রাচীন
- I W. Ball-Stone implement found in Bengal, proceedings of the Asiatic society of Bengal, 1865, pp. 127-28
br t ibid, 1867, p. 148; catalogue Raisonne of the prehistoric Antiquities in the Indian Museum by J cosein Browne, M. sc. F. G. 5, p. 86. . . . . . . . . . . . . . . . . .” ; ,"
