পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য । 象g স্ত্রীলোকেরা যেমন গৃহকাৰ্য্যে পরিশ্রম-তৎপর ছিলেন, এক্ষণকার স্ত্রীলোকদিগকে সেরূপ দেখা যায় না । ” রামমোহন রায়ের মৃত্যুর একাদশ বৎসর পরে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্ৰকাশিত হয়। এই পত্রিকা দ্বারা যে বঙ্গভাষার বহু উপকার সাধিত হইয়াছে, তাহা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিয়া থাকেন । শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার দত্ত , দ্বাদশ বৎসর উহার সম্পাদকীয় কাৰ্য্য নির্বাহ করিয়াছিলেন । তিনি ঐ সময়ের মধ্যে পত্রিকাতে যে সকল প্ৰস্তাব লিখেন, তাহা বঙ্গভাষাকে অতি সমৃদ্ধিশালিনী করিয়াছে । অক্ষয় বাবুর প্রণীত বাহা বস্তু ও ধৰ্ম্মনীতি ভঁাহার সর্বোত্তম গ্ৰন্থ নহে, উহা অনেক পরিমাণে ইংরাজীর অনুবাদ মাত্ৰ । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকাতে প্ৰকাশিত প্ৰাচীন হিন্দুদিগের বাণিজ্য, পাণ্ডবদিগের অস্ত্ৰশিক্ষা, কলিকাতার বর্তমান দুরবস্থা প্ৰভৃতি তঁহার স্বকপোল-রচিত প্ৰস্তাবই ভঁাহার সর্বোত্তম রচনা । দুঃখের বিষয় এই যে, তাহা এখনো স্বতন্ত্র পুস্তকাকারে প্ৰকাশিত হয় নাই । অক্ষয়বাবু বর্তমান বঙ্গভাষার একজন প্ৰধান নিৰ্ম্মাতা । এক্ষণে আমরা বাঙ্গালা ভাষার জনসন স্বরূপ বিজ্ঞাগ্ৰগণ্য মহামান্য শ্ৰীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নিকট আগমন করিতেছি। বিদ্যাসাগর মহাশয় আপনার প্রণীত গ্ৰন্থ সক, লের দ্বারা বঙ্গভাষার বর্তমান উন্নতির প্রথম সূত্রপাত করেন। অনেকে অবগত নহেন যে, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্যাসাগর । মহাশয়ের নিকট অক্ষয়কুমার দত্ত কত উপকৃত আছেন। তঁাহারা ভঁাহার লেখা প্ৰথম প্রথম বিস্তর সংশোধন করিয়া