পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - প্রথম ভাগ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ ভেমতি নছিলে যায় এমতি ব্যাভার। কলঙ্ক কলসী লয়ে ভাসিল পাথার ॥ চণ্ডীদাসে কহে ইহা বাশুলি রুপায় । পিরিতি লাগিয়া কেন ভাসিবে দরিয়ায় ॥ শুন শুম শুম ছে রসিক রায় । [পায় ॥ তোমারে ছাড়িয়া যে মুখে আছিলাম নিবেদিয়ে তুয়া কি জমি কি ক্ষণে কুমতি হুইল গরবে ভরিয়া গেনু । তোমা হেন বঁধু হেলায় হারায়ে ঝুরিয়ে ঝুরিয়ে মনু ॥ জনম অবধি মায়ের সোহাগে সোস্থগিনী বড় অামি । প্রিয় সখীগণ দেখে প্রাণ সম পরাণ বঁধুয়া তুমি ৷ সখীগণ কহে শ্যাম সোহগিণী গরবে ভরল দে । ছামারি গরব তুহু বাড়াওলি আর টুটাওব কে । তুহরি গরবে গরবিনী ছাম গরবে ভরল বৃক্ষ । চণ্ডীদাসে কছে এমনি মছিলে পিরিতি কিসের সুখ ॥ বঁধু কি আর বলিব আমি । যে মোর ভরম ধরম করম সকলি জানহ তুমি ৷ যে তোর কৰুনা না জানি আপন আনন্দে ভাসয়ে নিতি। তোমার আদরে সবে স্নেহ করে বুঝিতে না পারি রীতি। মায়ের যেমন বাপরি তেমন তেমতি বরজ পুরে । সর্থীর আদরে পরাণ বিদরে সে সব গোচর তোরে ৷ সতী বা অসতী তোরে মেীর মতি তোমার আনন্দে ভাসি তোমারি বচন সালঙ্কার মোর ভূষণে ভূষণ বাসি ॥ চণ্ডীদাসে বলে শুমহে সকলে বিনয় বচন সার। বিনয় করিয়া বচন কহিলে তুলনা নাহিক আর ॥ বন্ধু কি আর বলিব আমি। মরণে জীবনে জনমে জনমে প্রাণনাথ হইও তুমি ।