পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - প্রথম ভাগ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ তোমার চরণে আমার পরাণে বঁধিল প্রেমের ফঁাসি । সব সমপিয়া এক মম ছৈয় নিশ্চয় হইলাম দাসী ॥ ভাবিয়া দেখিলাম এতিম ভুবনে আরকেবা মোর আছে। রাধা বলি কেহ মুথাইতে নাই দাড়াব কাছার কাছে ॥ একুলে ওকুলে ভুকুলে গোকুলে আপন বলিৰ কায় । শীতল বলিয় শরন লইলাম ও ছুটি কমল পায় । নাঠেল নাঠেল ছলে অবলা অথলে যে ছয় উচিত তোর। ভাবিয়া দেখিলাম প্রাণনাথ বিনে গতি যে নাহিক মোর ॥ আণখির লিমিখে যদি মাছি দেথি তবে সে পরাণে মরি। চণ্ডীদাসে কয় পরশ রতন গলায় গণথিয়। পরি। রাই তুমি সে আমার গতি । তোমার কারণে রসতত্ত্ব লাগি গোকুলে আমার স্থিতি । নিশি দিশি সদা বসি আলাপনে মুরলী লইয়া করে। যমুনা সিনানে তোমার কারণে বসি থাকি তার তীরে ॥ তোমার রূপের মাধুরী দেখিতে কদম্ব তলতে থাকি। শুনহ কিশোরী চারি দিক হেরি যেমত চাতক পাখি ॥ তব রূপ গুণ মধুর মাধুরী সদাই ভাবনা মোর। করি অনুমান সদা করিগাম তব প্রেমে হয়ে ভোর ॥ চণ্ডীদাসে কয় ঐছন পিন্নিতি জগতে আর কি হয় । এমত পিরিতি না দেখি কখন ইছ না কহিলে নয় ॥ চৈতন্য দেবের আবির্ভাবের পর রায়শেখর বাসুঘোষ, নরহরিদাস, বৈষ্ণবদাস, যদুনন্দন, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস প্রভৃতি তদীয় ভক্তগণ বিস্তর