পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪১
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

পারিলেননা। অবশেষে তিনি একদিন সকল দুঃখ সকল অত্যাচারের পরপারে চলিয়া গেলেন।

 মান্দালাইয়ে নির্জ্জন কারাবাসের ফলে এবং অত্যধিক উত্তাপের জন্য শ্রীযুক্ত বসুর স্বাস্থ্যভঙ্গ হয়। তাঁহার ৪০ পাউণ্ড ওজন কমিয়া যায় ও ক্ষয়রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সুভাষ চন্দ্রের ভ্রাতা বিখ্যাত ডাক্তার সুনীলচন্দ্র বসু ও সরকারি মেডিকেল অফিসার তাঁহাকে পরীক্ষা করিয়া ঘোষণা করেন যে তাঁহার অবস্থা আশঙ্কাজনক! ১৯২৭ সালের এপ্রেল মাসে তিনি একেবারে শয্যাশায়ী হইয়া পড়েন। তাঁহার তৎকালিন শারীরিক অবস্থা দেখিয়া সরকারি ডাক্তার এরূপ মন্তব্য করিয়াছিলেন যে তাঁহাকে চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে ইউরোপে পাঠান হউক। যাহা হউক ১৯২৭ সালের ১৫ই মে ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্য সুভাষচন্দ্রকে মুক্তি দেওয়া হয়।

 সুভাষচন্দ্র যখন কারাগারে ছিলেন তখন কলিকাতা কর্পোরেশন ১৯২৭ সালের ১২ই মে পর্য্যন্ত তাঁহার ছুটি মঞ্জুর করেন। এই ছুটির কাল শেষ হইলে মিঃ জে, সি, মুখার্জিকে স্থায়ীভাবে ঐ পদে নিয়োগ করা হয়। ঠিক ইহার তিন দিন পরে অর্থাৎ ১৫ই মে তারিখে গভর্ণমেণ্ট তাঁহাকে মুক্তিদান করেন।

 মুক্তিলাভের পর সুভাষচন্দ্র তাঁহার ভগ্নস্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের আশায় স্বনামধন্য ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার রায়ের সুচিকিৎসায় সুভাষচন্দ্র অনতিবিলম্বে সুস্থ ও সবল