পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ফরওয়ার্ড ব্লক

 কংগ্রেসের সভাপতি-নির্ব্বাচন এবং ত্রিপুরী কংগ্রেসের অধিবেশন উপলক্ষে সদস্যগণের মধ্যে যে মতভেদ হয়, তাহা ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়া কংগ্রেসের মধ্যে দারুণ অশান্তির সৃষ্টি হয়। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ও সুভাষচন্দ্রের আদর্শের বিভিন্নতা ও সুভাষচন্দ্রকে বিচলিত করিয়া তুলিল। মহাত্মা বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের অঙ্গরূপেই ভারতের নূতন শাসনপদ্ধতি রচনা করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন। কিন্তু সুভাষচন্দ্রের আদর্শ সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। এই সকল কারণে সুভাষচন্দ্র ২৯শে এপ্রেল তারিখে কলিকাতার নিখিলভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির অধিবেশন উপলক্ষে কংগ্রেসের সভাপতিপদ পরিত্যাগ করিলে এবং ফরোয়ার্ড ব্লক, গঠন করিতে কৃতসংকল্প হইলেন।

অন্ধকূপ-হত্যা স্মৃতিস্তম্ভ অপসারণ

 মিষ্টার হলওয়েল “অন্ধকূপ-হত্যা” কাহিনী দ্বারা ভারতের ইতিহাসের পৃষ্ঠায় দুরপনেয় কলঙ্ক কালিমা লেপন করিয়াছিলেন তাহা সকলেই অবগত আছেন। ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট এই কলঙ্ককাহিনী চিরস্মরণীয় করিবার জন্য কলিকাতা মহানগরীর বক্ষে লালদীঘির নিকটে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করিয়াছিলেন। মুসলমান রাজগণ যে কিরূপ নিষ্ঠুর ছিলেন তাহারই একটি চিত্র ভারতবাসীর সম্মুখে স্থাপন করাই এই স্তম্ভ স্থাপনের উদ্দেশ্য।