পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭১
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

হও। এখনও প্রতিনিবৃত্ত হইবার সময় আছে। যে অস্ত্র ফিরিয়া আসিয়া তোমারই বক্ষে বিদ্ধ হইবে, তাহা কদাচ নিক্ষেপ করিও না।

 আমার দ্বিতীয় এবং শেষ অনুরোধ এই যে আমার শান্তিময় মৃত্যুর প্রতিবন্ধক হইয়া পাশবিকবল প্রয়োগ করিতে প্রবৃত্ত হইওনা। Terence Macswiney, যতিন দাস, মহাত্মা গান্ধী এবং ১৯২৬ সালে আমি যখন অনশন আরম্ভ করি, গভর্ণমেণ্ট সঙ্কল্প করিয়াছিলেন যে তাঁহারা এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিবেন না। আমি আশা করি বর্ত্তমান ক্ষেত্রেও তাঁহারা ঐ নীতিই অবলম্বন করিবেন। অপর পক্ষে পাশবিক বলে আমার অনশন ব্রত ভঙ্গ করিবার চেষ্টা করিলে, আমি যথাসাধ্য বাধা প্রদান করিতে পরাঙ্মুখ হইবনা, এবং তাহার পরিণাম হয়ত ভয়ঙ্কর শোচনীয় হইতে পারে। আমি ১৯৪০ সালের ২৯শে নভেম্বর তারিখে অনশন আরম্ভ করিব।

 ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট ভালরূপই জানিতেন যে এই পত্র কোন দুর্ব্বলচেতা রাজনীতিবিদের পত্র নহে, পরন্তু ইহা একজন দৃঢ়চেতা সংগ্রামশীল স্বদেশ-প্রেমিকের পত্র—যিনি নিজের নির্দ্দিষ্ট নিয়ম প্রতিপালন করিবার জন্য যে কোনও মুহূর্ত্তে প্রাণ বিসর্জ্জন করিতে পারেন। গভর্ণমেণ্ট কিয়ৎকালের জন্য এবিষয়ে উচ্চবাচ্য করিলেন না, কিন্তু সুভাষচন্দ্রের অনশন আরম্ভ হইবার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁহারা এই রাজবন্দীকে মুক্তিদানের আদেশ দিলেন। প্রেসিডেন্সি ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে তাঁহার বিরুদ্ধে যে দুইটি অভিযোেগ আনীত