পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৩
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

মেলের দ্বিতীয় শ্রেণীর একখানি কামরায় আরোহণ করেন।[১] ঐ কামরা তাঁহার জন্য রিজার্ভ করা ছিল। ঐ সময়ে তাঁহার বড় বড় চুল ও শ্বশ্রু হইয়াছিল। পেশোয়ারে পৌঁছিবার পর তাঁহাকে পাঠানের ন্যায় দেখায়। তিনি ছয়দিন খান আব্বাজ খানের নিকট ছিলেন। পেশোয়ার হইতে একজন দেহরক্ষী সহ তাঁহাকে কাবুলে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়। নেতাজী পেশোয়ার হইতে একখানি পেশোয়ারি টোঙ্গায় পাঁচ মাইল পথ গমন করেন। তাহার পর তিনি পদব্রজে যাত্রা আরম্ভ করেন। তিনি তৎকালে জিয়াউদ্দিন নামক ছদ্মনাম ধারণ করিয়াছিলেন।

 কাবুলে উপনীত হইয়া নেতাজী আমাশয় রোগে আক্রান্ত হন। ঐ অবস্থায় তিনি একজন গোয়েন্দার হাতে পড়েন।


  1. ১৯৪১ সালের ২৬শে জানুয়ারি সুভাষ বাবুর অন্তর্ধানের সংবাদ প্রচারিত হয় এবং বৎসরাধিক কাল এই পলায়ন-কাহিনী রহস্যজালে আবৃত থাকে। প্রথমতঃ অনেকেই মনে করিয়াছিলেন, তিনি রাজনৈতিক জীবনে বীতশ্রদ্ধ হইয়া শ্রীঅরবিন্দের ন্যায় সন্ন্যাস-জীবন আরম্ভ করিয়াছেন। কেহ কেহ মনে করিয়াছিলেন, তিনি ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের নির্য্যাতন হইতে উদ্ধার লাভ করিবার জন্য বৈদেশিক রাজ্যে গিয়া আত্মগোপন করিয়াছেন। ভারত গভর্ণমেণ্টের Home Department এর সেক্রেটারি যখন বিবৃতি দেন যে সুভাষবাবু ইটালির রাজধানী নোম নগরীতে অথবা জার্ম্মাণ রাজধানী বার্লিনে অবস্থান করিতেছেন, তখন তাঁহার দেশবাসিগণ এ সংবাদে বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারেন নাই। ইহার কিছুদিন পরে যখন আংলো ইণ্ডিয়ানদিগের মুখপত্র Statesman এ উপর্য্যুপরি কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় এবং