পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৯
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

সমগ্র ও সম্পূর্ণরূপে সংহত শক্তি চাই, ইহা অপেক্ষা কিছু কম নহে। কারণ আমরা বহুবার আমাদের শত্রুপক্ষের নিকট হইতে শুনিয়াছি যে, ইহা সামগ্রিক যুদ্ধ। আপনারা আজ আপনাদের সম্মুখে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সৈনিকদের এক অংশ—আজাদ হিন্দ ফৌজ বা ভারতীয় জাতীয় বাহিনীকে দেখিতে পাইতেছেন। অন্য একদিন তাহারা তাহাদের আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ টাউন হলের সম্মুখে করিয়াছিল। অতঃপর তাহারা স্থির করিয়াছে যে, ভারতের প্রাচীন নগরী দিল্লীর লাল কেল্লার সম্মুখে কুচকাওয়াজ করিতে না পারা পর্য্যন্ত তাহারা সংগ্রাম চালাইয়া যাইবে। ‘দিল্লী চল’ ‘দিল্লী চল’ ইহাই তাহারা শ্লোগানরূপে গ্রহণ করিয়াছে। বন্ধুগণ পূর্ব্ব এশিয়ায় ত্রিশলক্ষ প্রবাসী ভারতীয়ের এই চরম যুদ্ধের জন্য চরম সংহতির শ্লোগান হউক ‘দিল্লী চল’। আমি এই চরম সংহতির মধ্য হইতে কমপক্ষে তিন লক্ষ সৈন্য এবং নয় কোটী টাকা পাইতে আশা করি। আমি এতদ্ব্যতীত ‘মৃত্যু ভয় হীন বাহিনীর’ জন্য একদল সাহসী মহিলা চাই। একদা ১৮৭৫ সালের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁন্সীর রাণী যে বীরত্বের সহিত তরবারি চালনা করিয়াছিলেন, এই নারীবাহিনীকেও সেইরূপ বীরত্বের পরিচয় দিতে হইবে।

 বন্ধুগণ আমরা বহুদিন যাবৎ ইউরোপের দ্বিতীয় ফ্রণ্টের কথা শুনিতেছি, কিন্তু আমাদের স্বদেশবাসী বর্ত্তমান সময়ে চুড়ান্তভাবে নির্য্যাতিত হইতেছে, তাহারা এখন দ্বিতীয় ফ্রণ্টের দাবী করে। আমাকে পূর্ব্ব এশিয়ার সমস্ত সংহত শক্তি দান করুন, আমি