পাতা:বামারচনাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীতি ও ধৰ্ম্ম । S $న কথায় কথায় বলে ‘তারা কিবা জানে । কি গুণে তাদের লোক এমত বাখানে”। মুখ্যাতি শুনিলে মনে উঠে ছিংসানল । দহে মন দিব নিশি না হয় শীতল। ওহে বিশ্বনাথ ওহে বিশ্বের আধার। অসংখ্য প্ৰণতি নাথ চরণে তোমার । পুনঃ পুনঃ কহি প্রভু এই দুঃখ হর । হিংস্ৰক হইতে ধরাতল মুক্ত কর । ন্ত্রীমতী লক্ষী মণি দেবী । যৌবন কাল । যৌবন কাল মনুষ্যের কি বিষম কাল! এই কালে মুখাভিলাষ ও ইন্দ্রিয়াভিলাষ কি প্রবল হয় ! নরনরীগণ যখন যৌবন দশা প্রাপ্ত হন তখন একবারে দিগ বিদিগ্‌ জ্ঞান শূন্য হন, তাহদের হিতাহিত বিবেচনা থাকে না । যৌবনের প্রারম্ভে লজ্জা ধৈর্য্য গাম্ভীৰ্য্য প্রভৃতি উৎকৃষ্ট বৃত্তি সকল কিছুই থাকে না । সেই ভীষণ সময়ে ইন্দ্রিয় সকল প্রদীপ্ত হুতাশনের ন্যায় মনুষ্য মনের ধৰ্ম্মরূপ আশ্রয় ভৰুকে ভস্মাবশেষ করিয়া ফেলে। যাহার মনে যৌবনের গৰ্ব্ব আছে, বিনয় নম্রতা কি পদার্থ তাহা অনুভব করা তাহার পক্ষে