১২০ বাম রচনাবলী। অতি কষ্টকর বোধ হয়। এমন কি, কোন বিনয়ী নম্র স্বভাবের লোক যদি নয়নগোচর হয়, তাহাকে এমনি হীন ও তুচ্ছ বোৰু করেন যে সে ব্যক্তি কখন তাহার নিকট মনুষ্য বলিয়াই গণ্য হয় না। আহা! কি হেয় তাহদের মন, যাহারা ইন্দ্রিয়সেবায় আসক্ত হইয়া সামান্য ভোগাভিলাষেই আত্মার চরিতার্থতা এবং পরমার্থসাধন বোধ করে। সেই পাপিষ্ঠদের পাপাচরণ সকল মনে হইলে বক্ষঃস্থল ফাটিয়া যায়, পাষাণও দ্বিখণ্ড হয়। অধিক কি, পৃথিবী তাছাদের সংস্পশে কলঙ্কিত ছয় । ইন্দ্রিয় পরায়ণ ব্যক্তি দ্বার। কোন অসৎ ক্রিয়াই অক্লত থাকে না । যৌবন মদেশমুত্ত ব্যক্তির যে কত শত অসদাচরণ করিয়া বাস্থ্যু মুখ ভোগ করিবার চেষ্টা করে, তাহার সংখ্যা নাই, এবং ভ্রুণ হত্যাদি মহাপাপে লিপ্ত হইতেও কিছুমাত্র সঙ্কুচিত হয় না। এইকালে লোক এত মোহাচ্ছন্ন হয় যে মাতা পিতা ভ্রাতা প্রভৃতি গুৰুজনবর্গকে সামান্য তৃণের ন্যায় ভাবিয়া কতই ঘৃণা প্রকাশ ও অপমানসূচক বাক্য প্রয়োগ করিয়া থাকে। তাহার হৃদয় তখন এত কঠিন হুইয়া যায় ষে দীনের কৰুণা বাক্য শ্রবণে মনে বিন্দুমাত্র দয়ার সঞ্চার হয় না। পরের ক্লেশের প্রতি তাছার দৃকপাতও হয় না এবং অন্ধ