পাতা:বামারচনাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ বামণরচনাবলী | জন্মগ্রহণ সর্থক । তিনি সৰ্ব্ব সুখভোগী ইন্দ্রের ন্যায় রাজ্যাধিকারী ; সেই মহাত্মাই পরম যোগী । ছে মানবগণ ! যৌবনের প্রারম্ভে তোমরা যদি ধৈর্য্যরূপ সুবাতাসে ধৰ্ম্ম পালি তুলিতে পার, তবে কুপ্রবৃত্তির ভীষণ তরঙ্গ কখন তোমাদের মনতরণীকে পাপ সমুদ্রে মগ্ন করিতে পারিবে না। স্ত্রীকুন্দমালা দেবী । আশাবৃত্তি। মানব মণ্ডলী অাশাবৃত্তির অনুগামী হইয়া প্রায় যাবতীয় কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাছ করিয়া থাকে। আশাবৃত্তি না থাকিলে তাহারা কখন সুখানুভব করিতে সক্ষম ছইত না । কি ধনী কি দরিদ্র, কি খঞ্জ, কি অন্ধ সকলেই আশাবলম্বী হইয়া স্ব স্ব অভিলাষানুযায়ী সুখানুভব করিয়া থাকে। বিবেচনা করিতে হইলে আশাবলম্বনেই মনুষ্যগণ জীবন ধারণ করিয়া রহিয়াছে। যদি আমরা সাংসারিক কার্য্যেব্যাপৃত থাকিয়া অকস্মাৎ অভাবনীয় কোন বিপদ সাগরে পতিত হই, এবং তদ্ভুদ্ধারে উপায়ান্তরহীন হইয়া নিশ্চেষ্ট ও নিশ্চিন্তু থাকি, তবে সেই বিপদ জন্য হয় ত অপমাদিগের প্রাণ বিনাশই হউক কিম্বা অন্য কোন বিশেষ