পাতা:বামারচনাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిబ్రీ সমাজ সংস্করণ { জনপরম্পরায় শুনিয়াছি, কোন উচ্চপদাভিষিক্ত সম্ভণন্তু বাঙ্গালী বাবু নিজ পত্নীকে উদ্দেশ করিয়া বন্ধুর সমীপে বলিয়াছিলেন, বাঙ্গালী স্ত্রীর হীন ও অকৰ্ম্মণ্য, গৃহে যেমন কুকুর ও বিড়াল থাকে, তাহারাও তদ্রুপ, কোনরূপেই আমাদের সহবাসের যোগ্য। নছে। একথা বলা যদিও তাহার নিতান্ত অনুচিত, কারণ পত্নীকে সংশিক্ষণ দিয়া আপন যোগ্য করা পতিরই উচিত, তজ্জন্য পত্নীর দোষ হইতে পারে না, তথাপি এতদ্দেশীয় স্ত্রীদিগের প্রতি পুৰুষদিগের আন্তরিক অশ্রদ্ধার উদাহরণ স্বরূপ এই বৃত্তান্তের উল্লেখ করিলাম। এইরূপ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অপ্রণয় ও বৈরক্তি, মাতা প্রভৃতি গুৰ্ব্বঙ্গনার প্রতি সন্তানাদির অনাদর ও অভক্তির অসংখ্য উদাহরণ পাওয়া যায়, বোধ করি তাহ পাঠকগণের অবিদিত নাই । স্ত্রী ও পুৰুষগণের পরস্পর অনৈক্য ও বিরাগ থাক প্রযুক্ত প্রায়ই সকল বঙ্গপরিবার যোত্রাপন্ন হুইয়াও সাংসারিক সুখে বঞ্চিত ও ঘোরতর মনোবেদনায় ব্যথিত হইয়া থাকে । ঈশ্বর আমাদিগকে মনুষ্য জন্ম দিয়া ও উৎকৃষ্ট মনোবৃত্তি প্রদান করিয়া ভূমণ্ডলের সমস্ত জীব অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ করিয়াছেন, আমরা ইহা ভ্ৰমেও একবার