পাতা:বামারচনাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ সংস্করণ । २१ মনে করি নাই ও সেই শ্রেষ্ঠত রক্ষার জন্য যত্নবর্তী হই নাই । আমরা কেবল পশুবৎ ইন্দ্রিয়োদরপরায়ণ হইয়া এই অমূল্য জীবন বৃথা যাপন করিতেছি, মনুঘ্যের শ্রেষ্ঠতাস্থচক কোন কাৰ্য্যই করি না–কুৎসিত কার্য্যেও লজ্জানুভব করি না। আমরা পুৰুষদিগকে আপন অপেক্ষা স্বভাবতঃ শ্রেষ্ঠ ও উৎকৃষ্ট ক্ষমতাপন্ন বিবেচনা করিয়া আপনাদিগকে কেবল তাহাদেরই অনুবৃত্তি ভিন্ন মনুষোচিত কোন উৎকৃষ্ট কাৰ্য্য করিবার অযোগ্য জ্ঞান করিয়া থাকি। আমরা শরীর সৌষ্ঠব সম্পাদনার্থ যেরূপ বত্ব করিয়া থাকি, মনের সৌন্দর্য্য সম্পাদন জন্য তাহার সহস্রাংশের একাংশও যত্ন করি না । আমাদিগের দেশের এ কুসংস্কার কবে দূর হইবে, যে স্ত্রীরা পুৰুষদিগের দাসত্ব ও ইন্দ্রিয় সুখদানের জন্য জন্মগ্রহণ করিয়াছে, তাহাদিগকে বিদ্যা ও নীতিশিক্ষা দিবার আবশ্যকতা নাই, ও তাহাদিগকে বিদ্যা শিক্ষা দিলে তাম্বারা দুশ্চারিণী হইবে ও গুৰুজনের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা করিবে না ! কবে আমাদিগের দেশীয়ের স্বার্থপরতাশূন্য ও সহৃদয় হইয়া স্ত্রীশিক্ষার আবশ্যকতা অনুভব করিবেন ও আপন আপন স্ত্রী-কন্যা প্রভৃতিকে বিদ্যা ও নীতিশিক্ষা দিয়া উন্নত করিবেন ?