পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• নির মেয়ে ২৬ .ছড়ে যাবে কেন ? মধুসূদন বেশ, তাই যাও একটা ভাল দিন দেখিয়ে । বোনের সেবা করতে এসেছিলে, সেবা দেখিয়ে গেলে বটে ! গ্রামের একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল । জ্ঞানদা মৌন হুইয়া রহিল। গোলক কোচার খুঁট দিয়া চক্ষু মার্জন করিয়া মিনিট-খানেক নিঃশব্দে তামাক খাইয় গাঢ়স্বরে কহিলেন, সতী-লক্ষ্মী, তার দিন ফুরলে, চলে গলেন। সেজন্ত তুঃখ শঙ্কিনে-–কিন্তু সংসারটা বয়ে গেল। মেয়ের সব বড় হয়েচে, যে যার স্বামী-পুত্র নিয়ে শ্বশুর-ঘর করচে । তাদের জন্তে ভাবিনে, কিন্তু ছাড়াটা এবাৰ ভেসে যাবে। জ্ঞানদা আৰ্দ্ৰকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, বালাই ষাট । আপনি ও-সব 한 ಸ್ಫೀ f গোলকীৰ তুলিয়া একটু মান হাস্ত করিয়া কহিল, না আনষ্টি উচিত বটে, কিন্তু সমস্তই চোখের ওপর স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কিনা : মধুসূদন ! তুমিই সত্য ! ঘর-সংসারেও মন নেই, বিষয়-কৰ্ম্মও বিষের মত ঠেকচে । যে কটা দিন বাচি, ব্ৰত-উপোস করতে আর র্তার লাম নতেই কেটে যাবে। সেজন্তে চিন্তা নেই—একমুঠো একসন্ধ্যে জোটে ভালো, না জোটে ক্ষতি নেই।--কিন্তু ওই ছোড়াটার আখের ভেবেষ্ট--মধুসূদন ! তুমিই ভরসা ! জ্ঞানদার দুই চক্ষু ছল ছল করিয়া আসিল । গোলকের স্ত্রী তাহার মামাতো ভগিনী হঠলেও সহোদরার দ্যায়ই স্নেহ করিতেন । তাই কঠিন রোগাক্রাস্ত হইয়া তিনি জ্ঞানদাকে স্মরণ করিলে, সে না আসিয়া কোনমতেই থাকিতে পারে নাই। সেই দিদি আজ মাসাধিক কাল হইল ইহলোক ত্যাগ করিয়াছেন এবং যাবার সময় নাকি ইহারই হাতে র্তাহার বছর দশেকের ছলেটিকে সঁপিয়, গিয়াছেন । o