ዓ¢ বামুনের মেয়ে দিতে চাহিলেন, এবং জ্ঞানদার না যাওয়ার বিস্ময় ও বদন তাহার বুদ্ধকেও যেন অতিক্রম করিয়া গেল। গোলক বাহিরের ঘরে আসিয়া দেখিলেন, মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য্য বসিয়া আছে। মৃত্যুঞ্জয় দাড়াইয়া উঠিয়া নমস্কার কবিল ; গোলক নমস্কার ফিরাইয়া দিলেন না, ঘাড়টা একটুখানি না"য় বলিলেন, তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম বাবাজী । মৃত্যুঞ্জয় কহিল, আজ্ঞে, শুনেই ত মুখে ছটি ভ.ত দিয়েই ছুটে আসচি চাটুয্যেমশাই। গোলক বলিলেন, তা ত আসচে হে–কিন্তু ঘটকালি ত করে বেড়াও, বলি দেশের খবর-টবর কিছু রাখো ? হা, ঘঢ়ক ছিলেন বটে তোমার পিতামহ রামতারণ শিরোমণি ! সমাজটি ছিঃ মগ-দৰ্পণে । মৃত্যুঞ্জয় কহিল, আজ্ঞে, আমার অপরাধ কি ? এ-সব কি ময়েমানুষের কাজ ? কিন্তু, সে যাই ক্টোক-জগে৷ বামনয় ময়েটার । কি আস্পদ্ধ বলুন দেখি চাটুয্যেমশাই ? রাস্ত্রপিসির কাছে শুনে পৰ্য্যস্ত আমরা যেন রাগে জলে যাচ্ছি । গোলক অত্যন্ত আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিলেন, কি, কি ? ব্যাপারটা কি বল দেখি ? আপনি কি কিছু শোনেননি । না না, কিছু না । হয়েচে কি ? মৃত্যুঞ্জয় বলিল, আপনারও গৃহ শূন্ত, ও মেয়েটারও আই বিয়ে হয় না। শুনলাম আপনি নাকি দয়া করে জ্বটো ফুল ফলে দিয়ে ব্রাহ্মণের কুলটা রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। ছুড়ি মাক তেজ করে সকলের স্বমুখে বলেচে-কথাটা উচ্চারণ করতেও মুখে বাধে মশাই —বলেচে নাকি, ঘাটের মড়ার গলায় ছেঁড়া-জুতোর মালা গেথে পড়িয়ে দেবো । তার মা-বাপও নাকি তাতে সায় দিয়েচে ।
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৯
অবয়ব