বামুনের মেয়ে وع و ه রাগে গোলকের চোখ-মুখ রাঙা হইয়া উঠিল, কিন্তু একনিমিষে নিজেকে সামলাইয়া, হাঃ হাঃ হাঃ করিয়া হাসিয়া কহিলেন, বলেচে না-কি ? ছুড়ি আচ্ছা ফাজিল ত ? ক্রুদ্ধ মৃত্যুঞ্জয় কহিল, হোক ফাজিল, কিন্তু তাই বলে আপনাকে বলবে এই কথা ! জানে না সে আপনার পায়ে মারুণ দিলে তার ছাপ্পানো-পুরুষ উদ্ধার হয়ে যাবে । আপনি বলেন কি ? গোলক প্রশান্ত হাসিমুখে কহিলেন, ছেলেমানুষ ! ছেলেমানুষ ! রাগ করতে নেই হে মুকুঞ্জয়—রাগ করতে নেই। আমার মর্য্যাদা সে জানবে কি—জানে; তোমরা, জানে দশখান। গ্রামের লোক । মৃত্যুঞ্জয় গলাটা কথঞ্চিৎ সংযভ করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, ব্যাপারটা কি তা হলে সত্যি নয় ? আপনি কি তা হলে রাস্তুপিসিকে দিয়ে— গোলক্ষ কহিলেন, রাধামাধব ! তুমি ত ক্ষেপলে বাবাজী। যার অমন গৃহলক্ষ্মী যায়, সে নাকি আবার —বলিয়া অকস্মাৎ প্রবল নিঃশ্বাস মোচন করিয়া কঠিলেন, মধুসূদন ! তুমিই ভরসা ! র্তাহার ভক্তি-গদগদ উচ্ছ্বাসের প্রত্যুত্ত্বরে মৃত্যুঞ্জয় কি বলিবে ভাবিয়া না পাইয়া শুধু তাতার মুখের প্রতি চাহিয়া রঙ্গিল । গোলক কয়েক-মুহূৰ্ত্ত পরে উদাসকণ্ঠে কহিতে লাগিলেন, ছাইপাশ মনেও পড়ে না কিছু--লোকজনেরা ত দিবারাত্রি খেয়ে ফেললে আমাকে—একে বাচনি, ওঁকে রক্ষা করুন, অমুকের কুল উদ্ধার করুন,—আমাকে ত জানো চিরকাল অন্যমনস্ক উদাসীন লোক— হয়ত বা মনের ভুলে কাউকে কিছু বলেও থাকব—মধুসুদন ; তুমিষ্ট ভরসা ! তুমিই গতি মুক্তি ! ঘটক মৃত্যুঞ্জয় পাইয়া বসিল । সবিনয়ে কহিল, মাজে তাই যদি হয়, আমাদের প্রাণকৃষ্ণ মুখুয্যের মেয়েটকে আপনাকে পায়ে স্থান
পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮০
অবয়ব