পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বষ্টির নূতন সত্য YS আপন রাজ্য গড়িয়া তুলিবে, মনের মানুষ বৃহতে উঠিয়া যাইবে । কবে তাহা পূর্ণ হইবে, কত বৎসরে, কত যুগে, তাহা যাহার কাজ সেই লীলার ভগবান জানেন, আমি তাহার ব্যর্থ কামনায় অধীর নাই । ইহার মানে এ নয় যে আজই রাজনীতির কাজের কাজী রাজনীতি ছাড়িবে, সমাজের শিল্পী সমাজসৌধ গড়িবে না, কবির কবিতা, চিত্রকরের তুলির রং সৃষ্টি ভুলিয়া থামিয়া যাইবে । আজই সবাইকে ডাক দিবার যুগ তো আসে নাই, কিন্তু ভগবানের এই নূতন সত্যের চিহ্নিত মানুষকে-প্ৰথম পথ-নিৰ্ম্মাতা অসাধ্য সাধককে ডাক দিবার দিন আসিয়াছে, আমরা নূতন জগতের জীব ও সত্যমূৰ্ত্তি কেন্দ্রটি গড়িতেছি। তাহারই জন্য এ কয়টি জীবন উৎসৰ্গিত। এ কাজের প্রোগ্রাম নাই, পথ নাই, ছকবাধা বিধি-ব্যবস্থা নাই ; ইহার আছে শুধু এই কয়টি জীবন আঙিনা আর সেখানে বিশ্ব-শিল্পীর গোপন রচনা, তাহার জ্যোতির আসা যাওয়া, নূতন ভাবী জগতকে কারণে সূক্ষ্মে পরে স্থলে রূপ দেওয়া, ভগবানের রাজসিংহাসন এই স্কুল মাটির উপর রচিয়া তোলা । যাহারা এই নূতন সত্যে জাগিয়াছে তাহারা কোন ডাকে, কাহারও ডাকে ফিরিবে না, কারণ তাহারা আর ভিন্ন ভিন্ন আদর্শের মানুষ নহে, তাহারা সত্যের মানুষ । পুরাতন চিরদিনই তাহার বাধা রাস্তায় নূতনকে ফিরাইতে চায়, নূতনের রথ কিন্তু ফিরে না, তাহার অনন্তমুখী গতিতে উষা হইতে নব উষায়, সত্য-চুড়া হইতে নূতন সত্যের চুড়ায় চলিয়া যায়, নূতন সৃষ্টির ছন্দে বাধা তাহার সে গতি সে নবজীবন জগতে ফলিতে দিন লাগে, তাহার চুড়ার সূৰ্য্য মাটির দিগন্তের কোলে উদিত হইতে বেলা হয় । Cate