পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাখারিয়া স্বামী Ο δ বাগানে বোমার কারখানা খুলিয়াছি, কাজেই সার্পেণ্টাইন লেনে র্তাহার কাছে কদাচিৎ। যাইতাম । চান্দোত হইতে ফিরিয়া তাহাকে লেলের আশ্চৰ্য্য শক্তির কথা বলিলাম । তাহা শুনিয়া। সেজদাদা আমায় বলিলেন, যেন অবসর জুটিলে তাহার সহিত লেলের দেখা করাইয়া দিই। অবসর ভগবান আপনি জুটাইলেন। ঘটনাচক্রে সুরাটের কংগ্রেসের দিন ঘনাইয়া আসিল । তখন তলে তলে বাঙলার ও পুণার গরম দল দক্ষযজ্ঞ নাশের আয়োজনে সাজিতেছে। বাঙলার জেলা হইতে, ভারতের দেশ দেশান্তর হইতে বাছা বাছা ডেলিগেট গাড়ি ভৰ্ত্তি হইয়া সুরাটে প্রেরিত হইতেছেন। অপূর্ব মণিকাঞ্চন সংযোগ। আমা হেন বনবিড়ালের ভাগ্যেও শিকা ছিড়িল, আমার মাসতুতো ভাই সুকুমার য়্যান্টি-সারকুলার সোসাইটির কর্ণধারদের একজন, আমায় না জিজ্ঞাসা করিয়াই হঠাৎ দেখিয়্যান্টি-সারকুলার সোসাইটি আমায় ডেলিগেট নির্বাচন করিয়াছে। আমায় বাছাই করিল নরম দল, আর গরম দলের পয়সায় আমি অরবিন্দ ও শ্যামসুন্দর বাবুর সহিত সুরাট যাত্ৰা করিলাম । জীবনের কোথাকার জল যে কোথায় গড়ায় মানুষ সত্যই তা” জানে না । কে যেন জীবনের দাবার গুটি পর্দার আড়াল হইতে কমলহস্ত বাহির করিয়া কখন অলক্ষ্যে টিপিতেছে আর আমরা কখনও পঞ্জী ছক্কা পাইয়া কখনও চালমাৎ হইয়া নাস্তানাবুদ হইতেছি। তখন জানি দেশ জুড়িয়া বিদ্রোহ করিব, হয় ফাসী-কাঠে কোন শুভপ্ৰাতে দুৰ্গা বলিয়া বুলিয়া পড়িতে হইবে, নয় বাঙলার মসনদে বুঝি বা গভর্ণরি পাইয়া দু’শো মজা লুটিব। বিধি কিন্তু তখন হইতেই এই সুরটি যাত্ৰা উপলক্ষ্য করিয়া শুধু আমার নয়, সেজদাদা অরবিন্দের জীবনের গতিও ভাগবত জগতের দিকে ধীরে ধীরে ফিরাইতেছিলেন। আমার বাসনার পঙ্কের বুকে ভগবানের কমল যে আঁধার রজনীর নিবিড় স্পর্শে ঢাকিয়া ফুটাইয়া তুলিবে, সেই রজনী ঘনাইয়া আসিতেছিল, আর আসিতেছিল এক মহাপুরুষের রূপান্তরকরা স্পর্শ। আমি সজ্ঞানে