পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न 6शद्म6 SV) বাঙলায় রণচণ্ডীর চামুণ্ডা রূপ আবির্ভাব হইয়াও হইল না, একবার নয়, বার বার সে রক্ত যুগের আগুন বিধির বিধানে মানুষের অনবধানতায় কত কি কারণে ধোয়াইয়া ধোয়াইয়া নিবিয়া গেল। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় বুঝি বা ভারতের ভাগ্য ও-পথে ফিরিবে না। বুঝি বা মহাপুরুষ লেলের ভবিষ্যৎবাণী সফল হইবে। তিনি বলিয়াছিলেন, “ভারতের স্বাধীনতা অনিবাৰ্য্য। কিন্তু একরকম বিনা রক্তপাতেই তাহা সাধিত হইবে । আকাশ থেকে ভগবানের আশীৰ্বাদের ন্যায়। এ ধন তোমাদের হাতে আসবে, তোমরা শুধু শাসনযন্ত্র গড়ে নিলেই চলবে।” ভগবানের মনে কি আছে জানি না, আমি সেই হইতে ও পথ ছড়িয়াছি, তাই কারাগারের নির্জন কক্ষে বার বৎসর বসিয়া বসিয়া বলিয়াছি, “দেবতা । আজ থেকে আমি তোমার পথের যাত্রী, আপনি কােজ আপনি অপূর্ব লীলায় তুমি আপনি কর ।” প্ৰফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরামকে মজঃফরপুরে পাঠাইয়া আমি দিন গণিতেছিলাম। প্ৰতিদিন ‘এম্পায়ার’ কাগজ কিনিয়া দেখিতাম কাৰ্য্যোদ্ধার হইল। কিনা। প্ৰতিদিন বাগান হইতে কেহ যাইয়া বেলা তিনটার সময় এই কাগজ কিনিয়া আনিত ; ধরা পড়িবার পূর্বদিন অনিবাৰ্য্য ভবিতব্যের বশে এ ভার পড়ে অবিনাশচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য্যের উপর, যাহার হাতে নবশক্তির হাজার কাজের ভিড় । সে বাগানের ছেলে নয়, বাগানের ব্যাপার বড় একটা জানিত না, সবে মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতার নবশক্তির ভার আমাদের হইয়া লইতেছিল। কাজকৰ্ম্ম সারিয়া সে যখন সেদিনকার এম্পায়ার লইয়া বাগানে আসিল তখন রাত্র আটটা । খুলিয়া দেখিলাম মজঃফরপুরে বোমা ফাটিয়াছে, কাগজ বলিতেছে, “পুলিশ জানে কোথা হইতে কাহাদের দ্বারা এসব কাণ্ড ঘটে। শীঘ্রই ইহার একটা কুলকিনারা হইবে।” তখনি বাগান ছাড়িয়া ইতস্ততঃ ছড়াইয়া পড়িবার কথা । কিন্তু সমস্ত দিনের হাড়ভাঙা খাটুনীর পর হঠাৎ এত মালমসলা সরাই