পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমিষ ভক্ষণ । ২১৩ অধিক সংখ্যক আমিষভোজীর খাদ্য উৎপন্ন হইতে পারে, এই প্রকার বিধান করিয়া দিতেন । নবমতঃ । কোন কোন মহাশয় কহেন, আমরা । স্বহস্তে প্ৰাণী বধ করি না, অ্য কর্তৃক নিহৎ 'জীবের মাংস ভক্ষণ করিয়া থাকি, তবে অমাদিগকে হিংসা দোষ স্পৰ্শিবার সম্ভাবনা কি? কিন্তু তাহাদের ইহ বিবেচন। করা উচিত, যে তাহারা ক্রয় করিয়। ভক্ষণ । করেন বলিয়াই, ধীবর প্রভৃতির। , পশু, পক্ষ্যাদি নষ্ট করিতে প্ররন্ত হয় । উাহারাঅমিষ ভোজন না । করিলে, লোকের মৎস্য মাংস বিক্রয় করাযে এক উপজীবিকা আছেতাহ৷ মূলেই থাকিত না। যদি কোন ব্যক্তি কাহাকেও ধনলোভ দৰ্শাইয়া নরহত্যা করিতে প্রত্ত করে, তবে তাহাতে কি সেই প্রবণ্ডকের অপরাধ হয় না? অতএব, প্তাহার আমিষ ভোজন। করাতে, ধীবর ও মাংসবিক্রয়োপজীবিদিগকে প্রাণী । বধ করিতে এক প্রকার অনুমতি দেওয়াই হয় এবং যদি তাহাতে পাপ থাকে, তবে গৃহাদিগকে অবশ্যই সে পঃপের ফলভাগী হইতে হয়, তাহার সংশয় নাই। তাহারা যে নানাপ্রকার নির ব্যবহার পূৰ্ব্বক জন্তুর জীবন অপহরণ করিয়া দরা, স্নেহ প্রভৃষ্টি উক্লষ্ট প্ররতি সমুদায়ে একেবারে জলাঞ্জলি দেয়, এবং আমিষভোজী মহাশয়েরা যে সৎ স্ত্য মাংস উদ- রস্থ করিয়া আপনাদের নিকট প্রবৃত্তি প্রবল। কয়েন, ঐ সকল আমিষাশী ব্যক্তিই এ উভয়ের মূল কারণ। অতএব, মৎস্য মাংস ভক্ষণদ্বার মনুষ্যের নিক