পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
  • ১২

পরিশিষ্ট। এই স্থলে উল্লেখ করাকৰ্ত্তব্য, যে আমাদের দেশের ্যায় উৎ দেশে যে মৎস্য মাংস ভক্ষণ অাবশ্যক করে ন। , ইহ প্রায় সর্ব-বাদি-সন্মত । অষ্টসত , -নিরামিষভোজী পণ্ডিতেরা স্বপক্ষ সং- স্থাপনাৰ্থ আর একটি যুক্তি প্রদর্শন করেন তাহাও গ্রহণ করা কৰ্ত্তব্য । যাগতে অল্প দ্ৰব্য ব| অল্প পরি এমে তাধিক কাৰ্য্য সম্পন্ন হর, তা হাই পরমেশ্বর-প্রতি ঠিত সমুদায় প্রাকৃতিক নিয়মের উদ্দেশ্য। ভূমণ্ডলে লোকের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি হইতেছে, অতএব যাহতে তাম্প ভূমিতে অধিক লোকের তা হার প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাই কৰ্ত্তব্য । যে সকল সভ্য জাতির মধ্যে প্রচুর মাংস ব্যবহার প্রচলিত আছে, তাহার। পশু পালনাৰ্থে ক্ষেত্রে তৃণাদি বপন করেএবং পশু দিগকে সেই সকল তৃণ দি অহার করাইয়া আপনার তাহাদের মাংস ভোজন করে । ইহাতে, যে ভূমির উৎপরে যত লোকের আহারোপযুক্ত পশু পালিত হয়। সে ভূমিতে তাহার ২০ । ৩০ গুণ লোকের খাভোপযুক্ত শ্য উৎপন্ন হইতে পারে । আর যে সমস্ত অসভ্য । জাতি কেবল মৃগয়করিয়৷ উদর পূরণ করেতাহ। দের এক এক জনের । অ হার আহরণার্থে যত ভূমি আবশ্যক করে, তাহাতে কৃষি -কার্যোপজীবী সহস্ত্র। লোকের অন্ন উৎপন্ন হইতে পারে। । অতএব , যদি আমাদের তামিষ ভেজন করা পরমেশ্বরের অভি প্রেত হইত, তবে তিনি পৃথিবীর এ প্রকার ব্যবস্থ৷ করিতেন না, বরং যাহাতে নিরামিষভোজী অপেক্ষ।